শিক্ষা-সংস্কৃতি ও সাহিত্যে ড. শিরীণ আখতার প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে চলেছেন

চট্টগ্রাম একাডেমির সম্মাননা অনুষ্ঠানে আজাদী সম্পাদক

| বুধবার , ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ

একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেছেন, প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার একজন ভাগ্যবান মানুষ। তিনি একাধারে কবি, গল্পকার, ঔপন্যাসিক, গবেষক, প্রাবন্ধিক, শিক্ষাবিদ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপাচার্য। প্রথম মহিলা উপাচার্য তিনি। এই জীবনে অনেক কিছু তিনি পেয়েছেন, যা তাঁর জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে। এই সম্মাননাও প্রাপ্তির একটা অংশ।

চট্টগ্রাম একাডেমির উদ্যোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের সম্মাননা অনুষ্ঠানে আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ড. আনোয়ারা আলমের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির গ্যালারি হলে গতকাল মঙ্গলবার এ সম্মাননা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে এম এ মালেক বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের আজাদীর একটা সম্পর্ক রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আজাদীর ভূমিকা আজ ইতিহাসে পরিণত। আবার এই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের কৃতী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে আজাদীর পক্ষ থেকে ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক বৃত্তি। বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ কর্তৃক মনোনীত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তি পেয়ে থাকে। আমরা এ জন্য একটা অনুদান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দিয়ে রেখেছি। এই অনুদানের পরিমাণ আগামীতে বৃদ্ধি করার পরিকল্পনাও আছে আমাদের। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষক বা শিক্ষার্থীদের যে কোনো সম্মানকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখি। শিক্ষাবিদ হিসেবে এবং রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারকে চট্টগ্রাম একাডেমি যে সম্মাননা প্রদান করছে, তাতে আমি আনন্দিত।

এম এ মালেক আরো বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন ড. শিরীণ আখতার। শিক্ষাসংস্কৃতি ও সাহিত্যে সমস্ত প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে যে ভূমিকা তিনি পালন করছেন, তা প্রশংসাযোগ্য। শিক্ষা এমন এক মাধ্যম, যা সমাজকে আলোকিত করে, যে শিক্ষা নীতি নৈতিকতা শেখায়, মনে উদারতা আনে, মনুষ্যত্বকে জাগ্রত করে। মানবতাবোধসম্পন্ন মানুষ সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে শিক্ষার বিকল্প নেই। আমরা আজ সেই প্রকৃত শিক্ষাই অন্বেষণ করতে চাই।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সরকারি চারুকলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর রীতা দত্ত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মহীবুল আজিজ, বাংলা সম্মিলনের সভাপতি অধ্যাপক অভীক ওসমান, কবি ওমর কায়সার, প্রাবন্ধিক নেছার আহমদ, কবি জিন্নাহ চৌধুরী, শিশুসাহিত্যিক অরুণ শীল। আবৃত্তিশিল্পী আয়েশা হক শিমুর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী। অনুষ্ঠানের শুরুতে বৃন্দ আবৃত্তি করেন উঠোন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের শিল্পীরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকুম্ভমেলা উপলক্ষে জেএম সেন হলে সমন্বয় সভা
পরবর্তী নিবন্ধপটিয়ায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১১ পরিবার পেল ঢেউটিন ও কম্বল