ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ, ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ ও পুঞ্জীভূত বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে ‘বাস্তব চিত্র গোপন করা হচ্ছে’ বলে মনে করছে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ। তাদের দাবি, বর্তমানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ সাড়ে ৫ লাখ কোটি টাকা।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার বনানীতে একটি অভিজাত হোটেলে ‘হোয়াট লাইস অ্যাহেড ফর দ্য ব্যাংকিং সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা। বাস্তবে তা সাড়ে ৫ লাখ কোটি টাকা। ব্যাংকগুলোও তথ্য প্রকাশ করছে না জনসম্মুখে। দুর্ঘটনা ঘটার পর সবাই জানতে পারছে। আসলে ব্যাংক খাত কতটা খারাপ, সেই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। খবর বিডিনিউজের।
ফাহমিদার ব্যাখ্যা, ২০২৩ সালে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। খেলাপি এ ঋণের বাইরে ঋণ পুনঃতফসিল, আদালতের নিষেধজ্ঞা ও ঋণ অবলোপন যোগ করলে তার পরিমণ দাঁড়ায় সাড়ে ৫ লাখ কোটি টাকা। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পড়ে শোনান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
তিনি বলেন, গত এপ্রিলে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ৭২ হাজার ৫৪৩টি মামলায় ঋণের ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা আটকে আছে। সব মিলিয়ে গত ডিসেম্বর শেষে দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা।