পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে ড্রাগন চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন মিল্টন চাকমা। সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের মধ্যম পাড়া এলাকায় নিজ জমিতে ড্রাগন চাষ করে বর্তমানে তিনি এখন সফল চাষি। রাঙামাটির অনেক মানুষ তার এই ড্রাগন বাগান দেখতে প্রতিদিন ভিড় করে।
মিল্টন চাকমা জানান, ২০১০ সালে আমি দক্ষিণ কোরিয়া যাই। ২০১৮ সালে দেশে ফিরে এসে চিন্তা করছিলাম বিদেশ থেকে তো চলে আসলাম এখন কী করা যায়? কিছু একটা তো করতে হবে। এরপর ইউটিউবে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ২০২২ সালের এপ্রিল মাস থেকে শুরু করলাম নিজ জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ। নাটোর থেকে ড্রাগনের চারা সংগ্রহ করে নিজ জমিতে রোপণ শুরু করলাম। দুই একর জমিতে প্রায় ৪ হাজার ড্রাগন ফলের চারা রোপণ করি। প্রতি পিচ ড্রাগনের চারা খরচ পড়েছে ৪৩ টাকা। তিনি বলেন, প্রতি কেজি ড্রাগন বর্তমানে স্থানীয় বাজারে ২৫০ টাকা করে বিক্রয় হচ্ছে। প্রতি সিজনে প্রায় ৮০ হাজার টাকার মতো আয় হয়।
মিল্টন চাকমা জানিয়েছেন, ড্রাগন ফলের পাশাপাশি তার বাগানে ২৫০টি মাল্টা ও ৫০০টি পেয়ারা গাছও রয়েছে। তিনি বলেন, বেকার বসে না থেকে নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন ফলের বাগান সৃজন শুরু করলে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি অন্যদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। রাঙামাটি সদরের সাপছড়ি ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার সুমিত্রা চাকমা জানান, এই ড্রাগন ফলের বাগান দেখে এলাকার বেকার যুবক–যুবতীরা উৎসাহ পাচ্ছেন।
রাঙামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের উপ–সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেন, মিল্টন চাকমা দীর্ঘদিন ধরে বিদেশ ছিলেন। তার এ উদ্যোগেকে আমরা স্বাগত জানানোর পাশাপাশি কারিগরী এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিয়েছি। মিল্টন চাকমা বর্তমানে ড্রাগন
ফল চাষ করে সফল। সাপছড়ি এলাকায় তার এই বাগান দেখে এলাকার অনেকেই ড্রাগন বাগানের চাষ শুরু করেছেন।
রাঙামাটি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বিদেশ ফেরত মিল্টন চাকমা ড্রাগন ফলের চাষ করে নিজেকে স্বলম্বী করে তুলেছেন। যেসব বেকার যুবক রয়েছেন তারা চাইলে মিল্টনের মতো বিভিন্ন কৃষি ফল ফলাদি চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারেন।