অনিবন্ধিত গ্রাম সিএনজি টেক্সির বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান

আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৪:৩৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় নিবন্ধিত গ্রাম সিএনজি টেক্সির চেয়ে অনিবন্ধিত টেক্সির সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। তিনি বলেছেন, রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে গাড়িগুলো দীর্ঘ সময় ধরে যাত্রী পরিবহন করছে। অনিবন্ধিত গ্রাম সিএনজি টেক্সিগুলো দ্রুত সময়ে নিবন্ধনের আওতায় না আসলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। বিআরটিএ ও জেলা পুলিশ অভিযান শুরু করবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে অনিবন্ধিত গ্রাম টেক্সিগুলো জব্দ করে ডাম্পিংয়ে দেয়া হবে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী, আনোয়ারা ও উত্তর চট্টগ্রামের কোন্‌ উপজেলার কোথায় ডাম্পিং স্টেশন করা যায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা জায়গা খুঁজে জেলা প্রশাসনের কাছে তালিকা দিলে যাচাইবাছাই করা হবে। গতকাল নগরীর সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন। সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে গত মাসের খাতওয়ারী অপরাধ চিত্র তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একেএম গোলাম মোর্শেদ খান। জেলা প্রশাসক বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, বালি উত্তোলন, পাহাড় কাটা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, খুন, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, রাহাজানি, নারী ও শিশু নির্যাতন রোধ, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ, রেলপথ, নৌপথ ও সড়ক পথে মাদক পাচার রোধ এবং বন্য হাতি থেকে জানমাল রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। গত ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন স্থান থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে আইনশৃক্সখলা বাহিনীর অভিযান আরও জোরদার করতে হবে।

সভায় জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) রায়হান উদ্দিন খান বলেন, জেলার আইনশৃক্সখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ বাহিনী কাজ করছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতি শেষে থানাগুলোকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। অর্ন্তবর্তী সরকারের নির্দেশনা মতে থানাগুলোর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) পরিবর্তন করা হয়েছে। চলতি সেপ্টেম্বরের মধ্যে থানাগুলো আবার নতুনভাবে সাজবে। থানায় গিয়ে দলমত নির্বিশেষে সবাই সমান সেবা পাবে। তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের পর রাউজান, লোহাগাড়া, হাটহাজারী থেকে বেশ কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়েছে, কিছু কিছু উদ্ধার হয়েছে, যে সকল অস্ত্র ও গোলাবারুদ এখনো উদ্ধার হয়নি সেগুলো উদ্ধারে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সঠিক ঘটনায় থানায় মামলা নিতে পুলিশ গড়িমসি করবে না। সাংবাদিকদের নামেও মামলা হচ্ছে। তবে যারা ঘটনার সাথে জড়িত নয়, তাদেরকে মামলায় যুক্ত না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চট্টগ্রাম জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার ১৫ উপজেলার মধ্যেলোহাগাড়া, সাতকানিয়া ও বাঁশখালীতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত আগস্ট মাসে চট্টগ্রামে ২০২ জন ও চলতি মাসের এ পর্যন্ত ৩৪৫ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব। সভায় অন্যান্যের মধ্যে এনএসআই’র যুগ্ম পরিচালক শাহ সুফি নুর আলম সরকার, সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভশনের ক্যাপ্টেন ফায়িজ, বিজিবি’র সহকারী পরিচালক মফিজুল ইসলাম, র‌্যাবের এএসপি মো. নাসির উদ্দিন, কোস্টগার্ড প্রতিনিধি লে. কর্নেল মোসাব্বির, নৌবাহিনী প্রতিনিধি লে. সিফাত রাব্বি আশরাফ চৌধুরী, আনসার ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট ফরিদা পারভীন সুলতানা, সিএমপি’র অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (অপস্‌) বাবুল চন্দ্র বণিকসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপানগাঁওগামী জাহাজের জন্য নিউমুরিং টার্মিনালে আরেকটি জেটি বরাদ্দ
পরবর্তী নিবন্ধজাবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদককে পিটিয়ে হত্যা