ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতের কবলে পড়েছেন অন্তত ১৫টি যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। গত শুক্রবার গভীর রাতে মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট থেকে পন্থিছিলা এলাকায় এসব ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশ কয়েকবার ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে আটক করতে পারেনি।
ভুক্তভোগীরা জানান, গত শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে চট্টগ্রামমুখী শাপলা ফুল বোঝাই একটি পিকআপ সীতাকুণ্ডের পন্থিছিলা কসাইখানা এলাকা অতিক্রমকালে হঠাৎ গাড়ির চাকায় লোহা জাতীয় কিছু একটা যেন ছুঁড়ে মারা হয়। বিকট শব্দ কানে আসার সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পিকআপচালক সজিব। একটু এগিয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায় গাড়ির ইঞ্জিন। সাথে সাথে কয়েকজন মুখোশধারী এসে সজিবকে ঘিরে ফেলে। মুহূর্তেই মোবাইল, নগদ টাকা সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। পরে গাড়ি চালু করে নিকটস্থ টেকনো ফিলিং স্টেশনে এসে পুলিশকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন চালক সজিব। খবর পেয়ে পুলিশ পন্থিছিলা এলাকায় পৌঁছালে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। বেশ কিছুসময় ধরে পুলিশ সদস্যরা সেখানে পাহারা দিয়ে ফিরে আসে টেকনো ফিলিং স্টেশনে। এ সময় সেখানে কয়েকটি যানবাহন এসে ডাকাতির শিকার হওয়ার কথা বলে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সদস্যরা আবারও ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। কিন্তু এবারও কাউকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ আসলে মুহূর্তেই পলায়ন, আবার পুলিশ স্থান ত্যাগ করে অদূরে যেতেই শুরু করে ডাকাতি। এভাবে ডাকাতদলের কবলে পড়েছে অন্তত ১৫টি যানবাহন। সীতাকুণ্ড থানার এসআই নাছির উদ্দীন বলেন, ডাকাত দলের কাউকে আটক করা যায়নি। তবে আমরা এ ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমেছি। আশা করি দ্রুত জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পারব। ওই এলাকায় আমাদের তৎপরতাও বাড়ানো করা হয়েছে।
কুমিরা হাইওয়ে থানার ওসি শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা ডাকাতির সম্ভাব্য স্থানগুলোতে রাতে তৎপর থাকব। পাশাপাশি কারা ডাকাতি করছে তার একটি তালিকা তৈরি করে থানা পুলিশকে দেওয়া হবে এবং ডাকাতরা যেন পালিয়ে থাকতে না পারে সেজন্য ঝোপঝাড় পরিষ্কারের কাজ চলছে।