১৩ ঘন্টার ব্যবধানে প্রাণ হারালেন শিক্ষক ও ছাত্রী

সীতাকুণ্ডে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনা

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | সোমবার , ১ মার্চ, ২০২১ at ৬:২৮ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডে ১৩ ঘন্টার ব্যবধানে প্রাণ হারালেন তৌহিদুল ইসলাম জাফর (৫১) নামে এক শিক্ষক ও শামস তাহিয়াত মৌনতা (১৬) নামে এক ছাত্রী। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। নিহত তৌহিদুল ইসলাম জাফর ফকিরহাট সাদেক মস্তান উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক। সন্দ্বীপের মুছাপুর এলাকায় তার বাড়ি হলেও শিক্ষকতার সুবাদে তিনি দীর্ঘদিন সিরাজ ভূইয়া রাস্তার মাথা এলাকায় বসবাস করতেন।
অন্যদিকে নিহত শিক্ষার্থী শামস তাহিয়াত মৌনতা উপজেলার লালবেগ এলাকার সলিমুল্লাহ সেলিম ও রাজা কাসেম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তাহমিনা আক্তারের মেয়ে। সে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ) স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাত ৮টার দিকে মহাসড়কের সিরাজ ভূইয়া রাস্তার মাথা এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় চট্টগ্রামমুখি একটি বেপরোয়া মোটর সাইকেল শিক্ষক তৌহিদুল ইসলামকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি মহাসড়ক থেকে ২০ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রামের বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গভীর রাতে তার মৃত্যু হয়।
কুমিরা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক হোসেন জানান, দুর্ঘটনা কবলিত স্থান থেকে মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। অন্যদিকে গতকাল রবিবার সকালে প্রাইভেট পড়তে সীতাকুণ্ডের লালবেগ এলাকার নিজ বাসা থেকে ভাটিয়ারীর বিএমএ যান দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শামস তাহিয়াত মৌনতা। কিন্তু প্রাইভেট শেষে বাড়ি ফেরা হলো না তার। রবিবার সকাল ৯টায় মহাসড়কের ভাটিয়ারী এলাকায় গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিল সে। এসময় চট্টগ্রামমুখি বেপরোয়া গতির একটি মিনিবাস শিক্ষার্থী মৌনতাকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হয়। দুর্ঘটনার পর আহত মৌনতাকে চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
নিহত মৌনতার পিতা সলিমুল্লাহ সেলিম অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে জানান, যেই বাসে করে মৌনতার বাড়ি ফেরার কথা, সেই বাসই কেড়ে নিল তার প্রাণ। চালকের বেপরোয়া গতির কারণে অকালে জীবন প্রদীপ নিভে গেল আমার মেয়ের। মুহূর্তেই ভেঙে গেল মেয়েকে নিয়ে দেখা আমাদের সব স্বপ্ন। বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মো. বাবুল মিয়া বলেন, দুর্ঘটনার পর আমরা ঘটনাস্থল থেকে মিনিবাস চালক ও তার সহযোগীকে আটক করেছি। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবৈশ্বিক সন্ত্রাস মোকাবেলায় ভূমিকা রাখছে পুলিশ
পরবর্তী নিবন্ধএইচএসসি : রিভিউ আবেদনে ৬ জনের ফল পরিবর্তন