ভালো কথা শুনতে সবারই ভালো লাগে। একজন খারাপ লোক যতই খারাপ হোক না কেন তাঁর মুখ থেকেও আমরা ভালো কথা শুনি। নিজে না মানলেও অন্যজনকে সদুপদেশ দিই, নিজের দিকে না তাকিয়ে অন্যের দোষ-ত্রুটির সমালোচনা করি। নিজে কতটুকু সঠিক পথে আছি তা’ বিবেচনায় না আনা আমরা ‘মানুষ’ নামক প্রাণীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে বিষয়ে জ্ঞান নেই আমরা সেই বিষয়ে আলোচনা করি। ধর্মীয় ব্যাপারে না জানলে চুপ থাকাই শ্রেয়। কিন্তু, সেখানেও হস্তক্ষেপ। রাজনীতির আলোচনায় মনে হয় আমিই সব জান্তা। অথচ, রাজনীতির ‘র’ বুঝি না। আইন রচয়িতা হয়ে আইন ভঙ্গ করি। আইনজীবী না হয়ে আইনি পরামর্শ দিই। ডাক্তার না হয়েও ডাক্তারী করি। দু’ কলম শুদ্ধ করে ইংরেজি লিখতে পারি না অথচ, প্রতিষ্ঠানের বড় কর্মকর্তা! ভবিষ্যতে আরও বড় পদে পদায়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখি।
কাকে ডিঙিয়ে কে উপরে উঠবো, কে উপরে যেতে চাইলে তাকে টেনে ধরবো, কার পাকা ধানে মই দিবো, নিজের নাক কেটে কার যাত্রা ভঙ্গ করবো, সারাক্ষণ এই চিন্তায় আমরা ব্যস্ত। সমাজ, প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাঙ্গন, চিকিৎসাঙ্গন, রাজনৈতিক অঙ্গন, বিচারাঙ্গন সর্বক্ষেত্রেই এই অশুভ প্রবণতা বিরাজমান। মনে চিন্তা জাগে, মানুষ তো সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। তবে কি আমরা শ্রেষ্ঠ জীবের বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলছি ?