সিডনিতে বাঙালির নববর্ষ উদযাপন

অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে অপু বড়ুয়া | শুক্রবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ at ৮:২৭ পূর্বাহ্ণ

স্বপ্নের দেশ অস্ট্রেলিয়ার সিডনি প্রত্যাশা ওয়ার্ল্ড আয়োজিত সিডনির ইঙ্গেল্বর্নে প্রতিবছরের ন্যায় রঙিলা পহেলা বৈশাখ ২০৩১ বাঙলা ১৪ই এপ্রিল দিনব্যাপি জমজমাটভাবে উৎসবটি পালিত হয় নাচে গানে কবিতায় আর আড্ডায়। সিডনিসহ আশে পাশের বেশ কিছু স্থান থেকে বাঙালিরা আসতে থাকে অনুষ্ঠানস্থলে ঐতিহ্যবাহী পাঞ্জাবি লুঙ্গি পরে গামছা কাঁধে নিয়ে। চিরচেনা বাংলাদেশের ঢাকার রমনার বটমূলের আদলে নির্ধারিত এলাকাটি সাজানো হয় বর্ণিলভাবে। বাঙালির ঐতিহ্য ছনের ছাউনি কুঁেড়ঘর, ঢেঁকি, মাটির চুল্লিতে মাটির হাঁড়ি পাতিলে রান্না করে খাওয়া, মিষ্টি জর্দা ও পান সুপারির আয়োজন, ভাপা পিঠা বানিয়ে গরম গরম খাওয়া, তাসের খেলা, ক্যারাম প্রতিযোগিতা অনেক আনন্দময় ছিলো। প্রতীকী বিয়ের আয়োজন ছিলো মনোমুগ্ধকর, বরযাত্রির আগমন, বিয়েতে মাটির পাত্রে খাওয়া, হরেক রকম ভর্তা, সবজি, শুকটি মাছ রান্না মুড়ি বিস্কুটের দোকানে বাদাম কলা, মোয়া চা দিয়ে খাওয়া, ঝাল মুড়ি, চটপটি সর্বোপরি পান্তাইলিশ খাওয়াটি ছিলো মনলোভা। কার আগে কে খায়। তবে সব আয়োজনের মধ্যমনি সবার প্রিয় রাসেল ইকবাল ভাই এবং প্রত্যাশা ইকবাল ভাবী। মোরগ মুরগির বাসা, বাচ্ছাদের খেলার টমটম, চার বেহারার পালকি, সুদৃশ্য মঞ্চে চলে বাংলার গান। সিডনির স্বনামধন্য শিল্পীদের গাওয়া ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো‘ সেই বিখ্যাত গানটি কোরাস গেয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা করা হয়। বনফুল বড়ুয়া চমৎকার গায় সাথে আমিও গাইলাম গলা ছেড়ে একর পর এক। ঢোল বাজনা ছিলো মজাদার তালে পরিপক্ষ। কাসর সানাইয়ের সুরে মোহিত করে তোলে এলাকাটি। হৈমন্তী বড়ুয়া হিমুর গায়কি ঢং চমৎকার কোরাসে নেতৃত্ব দিয়েছে অনেকের মতো। নন্দিত কণ্ঠশিল্পী সাকিনা আক্তার এর কণ্ঠে প্রতিটি গান অসাধারণ দর্শক নন্দিত। কণ্ঠশিল্পী মিসেস লুরনিয়া একের পর এক গান গেয়ে উপস্থিত দর্শকদের মোহিত করে রাখে। তাল লয় উচ্চারণ গায়কি ঢং ছিলো অসাধারণ। দর্শকদের খইফোটা করতালি বেশ জমে ওঠে অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতায় অনেকের মতো পবিত্র বড়ুয়াও ছিলো বেশ আন্তরিক। ছোট্ট শিশু হিয়ান বড়ুয়ার মিহি কণ্ঠে বাংলা ছড়া আবৃত্তি ভালো লেগেছে। অনামির মতো ছোটরা ব্যস্ত দোলনায় চড়া নিয়ে সবাই খুব হাসি খুশিতে অমলিন। বরাবরই প্রতিবারের মতো প্রত্যাশা ইকবালের নন্দিত উপস্থাপনায় প্রতীকী বিয়ের আয়োজন ছিলো অনুষ্ঠানের বাড়তি পাওয়া। আমরা আন্তরিক অভিনন্দন জানাই সাহিত্য সংস্কৃতিমনা যুগলদের। আমরা প্রত্যাশি আগামীতে আবারো রঙিলা বৈশাখের আয়োজন হবে আমরা উপস্থিত হবো স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আত্মীয়জন নিয়ে সপরিবারে বাংলাকে দেখতে বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধারণ করতে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআল্লাহর ঘরে থাকা : চোখে দেখা কিছু সংকট
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সুখহীনতা