ফজলি আম রাজশাহীর সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জেরও

| বুধবার , ২৫ মে, ২০২২ at ৬:২৯ পূর্বাহ্ণ

মঙ্গলবার ফজলি আমের জিআই স্বত্ব নিয়ে দুই পক্ষের শুনানি শেষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর এ আম এখন ‘রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ’ এর ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) বলে রায় দেয়। ২০১৭ সালের মার্চে ফজলি আমের জিআই স্বীকৃতির জন্য আবেদন করে রাজশাহীর ফল উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্র। এরপর গত বছরের অক্টোবরে ফজলি আম রাজশাহীর জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফজলি আমকে নিজেদের জিআই পণ্য দাবি করে করে। তার পরিপ্রেক্ষিতে দুই পক্ষকে নিয়ে শুনানিতে বসে মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত দিল অধিদপ্তর। খবর বিডিনিউজের।

পেটেন্ট, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরেরর আপিল কর্তৃপক্ষের রেজিস্ট্রার জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, রায় দিয়েছি–দুই জেলারই থাকবে ফজলি আম। রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর ফজলি আম। আগে রাজশাহীহে জিআই স্বত্ব দেওয়া হয়েছিল। এখন গেজেট সংশোধন করে প্রকাশ করা হবে। তবে এ নিয়ে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে দুই মাসের মধ্যে আবেদন করার সুযোগও রয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

ভৌগলিক নির্দেশক (জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন-জিআই) হচ্ছে- একটি প্রতীক বা চিহ্ন, যা পণ্য ও সেবার উৎস, গুণাগুণ ও সুনাম ধারণ ও প্রচার করে। কোনো দেশের আবহাওয়া ও পরিবেশ যদি কোনো পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো গুরুত্ব রাখে, সেই দেশের সংস্কৃতির সাথে যদি বিষয়টি সম্পর্কিত হয়, তাহলে সেটাকে সে দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

ইন্টারন্যাশনাল প্রোপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) নিয়ম মেনে বাংলাদেশের পেটেন্টস, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক বিভাগ (ডিপিডিটি) জিআই সনদ দেয়। রাজশাহীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দীন। তিনি বলেন, ফজলি আম রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের বলে রায় হয়েছে আজ। এ নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় রোববার পেলে পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো। দুই মাস সময় তো রয়েছে।

ফজলির উপর রাজশাহীর একক স্বত্বের দাবি নিয়ে আলীম বলেন, রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় ৫০০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক বাঘা মসজিদের অভ্যন্তরীণ দেয়ালের টেরাকোটায় ফজলি আমের ছবি থাকাসহ সংশ্লিষ্ট উপাত্ত তুলে ধরেছি, আমরা এককভাবে স্বীকৃতিও পেয়েছিলাম।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম শুনানিতে অংশ নেন। তিনি বলেন, আমরা শুনানিতে উৎস, ঐতিহ্য, উৎপাদন ও বিপণন-এ বিষয়গুলো তুলে ধরেছি যে এটা চাঁপাইয়ের। আগে রাজশাহীর ছিল, এখন আমরাও স্বীকৃতিতে যুক্ত হলাম। রায়ে সন্তুষ্ট কি না- জানতে চাইলে মুনজের বলেন, এটি জেলাবাসীর আবেদন। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে করণীয় ও অবস্থান জানানো হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনিখোঁজের ১০ দিন পর মাদ্রাসা ছাত্রী উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধফিরেছে পাটের সুদিন, দরকার এখন কেবল নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন