ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ

হেফাজতের ফয়েজীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১১ মে, ২০২১ at ৪:১০ পূর্বাহ্ণ

হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির প্রচার সম্পাদক নোমান ফয়েজীর বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় করা ধর্ষণ মামলায় ভুক্তভোগী নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে পুলিশের হাতে এখনো রিপোর্ট আসেনি। রিপোর্ট হাতে পেলেই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল সোমবার আজাদীকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক। তিনি বলেন, গত শনিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেন্টারে ভুক্তভোগী ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে ডাক্তারি পরীক্ষার সে রিপোর্ট এখনো আমরা হাতে পায়নি। হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেলে তাকে ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে এবং ঘটনার বিষয়ে বিষদ জানতে আদালতের কাছে রিমান্ড চাওয়া হবে।
গত ৬ মে এক নারী হাটহাজারী থানায় হাজির হয়ে নিজে নোমান ফেয়েজী কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছেন উল্লেখ করে উক্ত মামলা দায়ের করেন। মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফেসবুকের মাধ্যমে নোমান ফয়েজীর সাথে ভুক্তভোগীর পরিচয়। তারা মেসেঞ্জার-হোয়াটসঅ্যাপে নিয়মিত চ্যাটিং করতেন। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হাটহাজারীর কনক বিল্ডিংয়ের নীচ তলায় তাকে বাসা ভাড়া করে দেন ফয়েজী। দীর্ঘ এক বছর ওই বাসায় তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরে নগরীতে থাকা খালার বাসায় চলে যাওয়ার পরও রক্ষা হয়নি তার। বিভিন্ন বাসা ও হোটেলে নিয়ে গিয়ে সুকৌশলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতেন ফয়েজী।
এর আগে গত ৫ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে হাটহাজারী তাণ্ডবের ঘটনায় কঙবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা থেকে নোমান ফয়েজীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে চট্টগ্রামে আনা হয়। এ ঘটনায় নগরীর দুই নম্বর গেইটে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের জানানো হয়- হেফাজত নেতা নোমান ফয়েজী বিয়েবহির্ভূত একাধিক সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। চলতেন বেশভুষা নিয়ে। তার কাছ থেকে উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনের চ্যাটিং বিশ্লেষণ করেই মিলেছে এসব তথ্য। ২ থেকে ৩ জনের সাথে তার বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, ২৬ মার্চ হাটহাজারী তাণ্ডবের সাথে জড়িত ছিলেন নোমান ফয়েজী। এ ঘটনায় তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন। তার নলেজে ছিল দেশের অন্যান্য জায়গায় সংঘঠিত হামলার পরিকল্পনাও। সহযোগিতা করার পাশাপাশি ইন্ধনদাতার ভূমিকাতেও ছিলেন তিনি। গ্রেপ্তার পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেই এসব স্বীকার করেছেন। তিনি স্বীকার করেন, হাটহাজারীতে পুলিশের উপর হামলা, ডাক বাংলো ও ভূমি অফিসে ভাংচুরে তিনি জড়িত ছিলেন। এসব ঘটনায় যারা মাস্টারমাইন্ড ও অর্থের যোগানদাতা ছিলেন সেসবের সাথেও তার সম্পৃক্ততা রয়েছেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটাকায় করোনা ভাইরাস!
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে করোনায় আরো ৪ জনের মৃত্যু