চর্যাপদে বৌদ্ধ দর্শনের আদিরূপ সন্ধান করা যায়

উচ্চারকের স্মারক বক্তব্যে সলিমুল্লাহ খান

| শনিবার , ১৩ নভেম্বর, ২০২১ at ৭:৩১ পূর্বাহ্ণ

গবেষক অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, চর্যাপদে প্রায় বারো’শ বছর আগের বৌদ্ধ দর্শনের স্বরূপ সন্ধান করা যায়। শুধু তাই নয়, পদগুলোতে সেকালের অন্ত্যজ শ্রেণির সামাজ ও সংস্কৃতির নিগূঢ় তত্ত্ব ও আধ্যত্মভাবের এক পরিশীলিত রূপ খুঁজে পাওয়া যায়।
তিনি গত ১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জের আয়োজনে চর্যাপদের গানের অনুষ্ঠানের স্মারক বক্তার বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। উচ্চারক সভাপতি ফারুক তাহেরের সভাপতিত্বে ‘চর্যায় অর্চনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অতিথি আলোচক ছিলেন-ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, গবেষক ও সংগীতজ্ঞ প্রফেসর আলীম মাহমুদ। স্বাগত বক্তব্য দেন, প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম ও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, সজল চৌধুরী। সঞ্চালনায় ছিলেন উচ্চারক সহ-সভাপতি এরফান মিথুন।
ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া বলেন, চর্যাপদ তান্ত্রিক সিদ্ধাচার্যদের দ্বারা রচিত হলেও পদগুলোতে সেই সময়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের একটি উৎকৃষ্ট রূপ আমরা দেখতে পাই। তাই আজও এসব পদের গুরুত্ব অপরিসীম।
আলীম মাহমুদ বলেন, মাত্র পঞ্চাশটির মতো চর্যাগানে যে ভাব-ছন্দ ও সামাজিক দর্শনের রূপ ফুটে উঠেছে, তা কেবল বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অনবদ্য সৃষ্টি নয়, এতে বিশ্বসাহিত্যের একটি উৎকৃষ্ট রূপকে খুঁজে পাওয়া যায়। সংগীতশিল্পী মো. মোস্তফা কামালের সুর ও সংগীত পরিচালনায় অনুষ্ঠানে চর্যার সাতটি গান সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করেন ফারুক তাহের, মৌসুমী চক্রবর্তী, এরফান মিথুন, শামীমা ইয়াছমিন, মন্দিরা বিশ্বাস, এ্যানি চৌধুরী, দিপা দাশ, পুনম দত্ত, নিলুফার সিরাজী, জামশেদ হোসাইন ও হামিদ উদ্দিন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআইসিএমএবি চট্টগ্রাম শাখার আন্তর্জাতিক অ্যাকাউন্টিং দিবস
পরবর্তী নিবন্ধশহীদ নূর হোসেনের আত্মত্যাগ যেন বৃথা না যায়