চট্টগ্রাম কাস্টমস ও বন্ড কাস্টমসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নানা ধরণের হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র নেতারা। গতকাল বিকেলে খুলশীর বিজিএমইএ চট্টগ্রাম আঞ্চলি কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক জরুরি মতবিনিময় সভায় এ অভিযোগ করা হয়।
মতবিনিময় সভায় পোশাক শিল্প মালিকরা বলেন, পোশাক শিল্পের আমদানিকৃত পণ্য চালান খালাসে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কিছু কর্মকর্তা এইচএস কোডসহ বিভিন্ন বিষয়ে অযথা হয়রানি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে। ফলে পণ্য খালাস বিলম্ব হচ্ছে। একই সাথে পণ্য রপ্তানিও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বর্তমানে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এখনো প্রচুর পরিমাণে পোশাকের রপ্তানি আদেশ বিদ্যমান রয়েছে। অন্যদিকে কাজের প্রয়োজনে কেউ যদি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় সাব–কন্ট্রাক্ট করাতে চান তখন আগে কেবল চট্টগ্রাম কাস্টমস বন্ড থেকে অনুমতি নেয়া লাগতো। আবার একইভাবে কেউ যদি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে সাব–কন্ট্রাক্ট করাতেন তখন কেবল ঢাকা কাস্টমস বন্ড থেকে অনুমতি নেয়া হতো। কিন্তু এখন চট্টগ্রাম কাস্টমস বন্ড এবং ঢাকা কাস্টমস বন্ড দুই জায়গাতে থেকে অনুমোদন নিতে হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীদের সময়ক্ষেপণ হচ্ছে। এছাড়া কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট কর্তৃক বন্ড লাইসেন্সে এইচএস কোড সংযোজন, বাৎসরিক নিরীক্ষা অনুমোদন, কারখানা সম্প্রসারণ, পণ্য সংরক্ষণের জন্য অতিরিক্ত গুদাম প্রদান, স্থানীয় কাপড় ব্যবহার করে রপ্তানিতে মূসক আদায়, ক্ষুদ্র ও মাঝারি বন্ধ প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স বাতিলসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদনে অহেতুক জটিলতা সৃষ্টিসহ বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ করেন পোশাক শিল্প মালিকরা।
বিজিএমইএর প্রথম সহ–সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী তৈরী পোশাক শিল্পের অব্যাহত প্রবৃদ্ধি অর্জনে পোশাক শিল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় পোশাক শিল্পের সমস্যাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু কাস্টমস ও বন্ডে পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান জটিলতা সমস্যার কারণে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএ’র সহ–সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সাবেক প্রথম সহসভাপতি এরশাদ উল্লাহ, নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, সাবেক পরিচালক ফরহাত আব্বাস, অঞ্জন শেখর দাশ, লিয়াকত আলী চৌধুরী। এছাড়া বিজিএমইএ’র পরিচালক এএম শফিউল করিম খোকন, মো. হাসান জ্যাকী, এম আহসানুল হক, মিরাজ–ই–মোস্তফা কায়সার, সাবেক পরিচালক হাসানুজ্জামান চৌধুরী, আমজাদ হোসেন চৌধুরী, এনামুল আজিজ চৌধুরী, মোহাম্মদ আতিকসহ পোশাক শিল্পের অন্যান্য মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।