খাগড়াছড়িতে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার চার মাস শেষ না হতেই মহাসড়কে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। খাগড়াছড়ি–চট্টগ্রাম মহাসড়কের আলুটিলা সড়কে এই ঘটনা ঘটে। সড়কের অন্তত ৩০০ ফুটের বেশি অংশজুড়ে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটির বেশ কিছু অংশ দেবে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ড্রেনও। জানা যায়, খাগড়াছড়ি–চট্টগ্রাম মহাসড়কের আলুটিলায় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। আলুটিলা সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ মোড়ের অংশে সড়ক সম্প্রসারণ করা হয়। যান চলাচলের সুবিধার্থে ও দুর্ঘটনা রোধে সড়ক লাগায়ো পাহাড়ের ঢালু অংশ মাটি ভরিয়ে সড়কটি প্রশস্ত করা হয়। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার চার মাসের ব্যবধানে সড়কের নতুন অংশে ফাটল দেখা গেছে। এমনকি সড়কের ড্রেনও কিছু দেবে গেছে। ভারী বৃষ্টিপাত হলে সড়কটির ভাঙন বৃদ্ধির শঙ্কা রয়েছে। ক্ষতি কমাতে বর্তমানে ফাটল দেয়া অংশ বালু আর প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। সড়ক সম্প্রসারণে কাজ করে খাগড়াছড়ির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেলিম এন্ড ব্রাদার্স। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির তত্ত্বাবধায়ক মো. ছিদ্দিক জানান, সড়কের কাজ হলেও তিনবছর পর্যন্ত এটি রক্ষণাবেক্ষণের দায় আমাদের। ফাটল দেখা দেয়া অংশটি বর্ষার পর আমরা সংস্কার করে দেব। পাহাড়ের ঢালু অংশ মাটি ভরিয়ে সড়কের প্রশস্ততা বাড়ানো হয়। মাটির কম্প্যাকশন সঠিকভাবে না হওয়ায় ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। অল্প সময়ে অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভারী বর্ষণের কারণে নতুন সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। নিয়ম অনুসরণ করেই মাটি ভরিয়ে সড়কটি প্রশস্ত করা হয়। নিয়ম ফলো করে মাটির কম্প্যাকশন করা হয়েছিল। রাস্তাটি সম্প্রসারণের পর চার মাস ভালোভাবেই চলেছে। এটি কিছুটা ঢালু। অল্প সময়ে যেহেতু অনেক পানি প্রবাহিত হয়, সেই কারণে এই অবস্থা হয়েছে।