ভাইরাল ভিডিওটার পেছনে কী?

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৪ জানুয়ারি, ২০২২ at ৭:২৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) ইশরাত নুরের টেবিলে একে একে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট ছুড়ে ফেলছেন পিয়ন মোহাম্মদ রাজু। এসব নোটের ভাঁজ খুলতে খুলতে এ সময় তাকে বলতে শোনা যায়, এই টাকা ম্যাডামের টাকা। এই নেন আপনার টাকা। এ কথা বলে রাজু এআরও ইশরাতের দিকে টাকা এগিয়ে দিলে তিনি হাত দিয়ে তা সরিয়ে দেন। এ সময় আশেপাশের লোকজন রাজুকে জিজ্ঞেস করেন, ম্যাডাম প্রতিটা ফাইল থেকে কেমন টাকা নেন? হয়রানি করেন? তখন রাজু জবাব দেন, টাকা না দিলে তিনি ফাইল নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন।

গত নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ের এমন একটি ঘটনা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে শোরগোল পড়ে যায়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এআরও ইশরাত নুর বলেন, টাকা নেয়ার যে অভিযোগ উঠেছে সেটি ভুয়া। সিঅ্যান্ডএফের একটি গ্রুপ তাকে বিব্রত করার জন্য ভিডিও করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু আজাদীকে বলেন, দুই মাস আগের ঘটনা এটি। এটি একটি ভুল বোঝাবুঝি ছিল। তা মিটমাট হয়ে গেছে। এখন কাজে কোনো ধরনের ঝামেলা হচ্ছে না। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিও দেখেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না দেখিনি।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার পায়েল পাশা আজাদীকে বলেন, ভিডিওটি আমরা দেখেছি। কাজটি সাজানো এবং পূর্বপরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। কোনো একটা সমস্যা হলে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আসতে পারতেন। কিন্তু সেটি না করে কিছু দুষ্টু লোক ভিডিও করে বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ঘটনা পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দেবে।

প্রসঙ্গত, এআরও ইশরাত নুর ২০২১ সালের ২৩ মে কাস্টমসের শুল্কায়ন শাখায় ৮(ডি) যোগ দেন। এর আগে তিনি অফডকে এআরও হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেড় যুগ পালিয়ে থেকেও রক্ষা হলো
পরবর্তী নিবন্ধপুরস্কার পাওয়ার পর অনুভূতি