আত্মশুদ্ধি ও গঠনমূলক রাজনীতি

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী | শনিবার , ১৩ নভেম্বর, ২০২১ at ৭:১২ পূর্বাহ্ণ

এটি সর্বজন স্বীকৃত যে; কোন জাতিরাষ্ট্রের সকল নাগরিকের সামগ্রিক কল্যাণ সাধনে সুনির্দিষ্ট আদর্শ ও কর্মসূচির ভিত্তিতে সংগঠিত জনসমষ্টির প্রকৃষ্ট সমর্থনে রাজনৈতিক দলের উন্মেষ ঘটে। গঠনমূলক রাজনৈতিক কর্মপরিকল্পনা-বাস্তবায়নে প্রায়োগিক কৌশল নির্ধারণ করে নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকার গঠন ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে জনস্বার্থে পরিকল্পিত কর্মযজ্ঞ সম্পাদন সাধারণত রাজনৈতিক দলের মূখ্য উদ্দেশ্য। সমগ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও পবিত্র সংবিধান মোতাবেক রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য বিধিবদ্ধ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং যথাযথ প্রক্রিয়ায় ভোটাধিকার প্রয়োগে জনপ্রতিনিধির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রণিধানযোগ্য অনুষঙ্গ। স্বৈরচারী মনোবৃত্তি সংহার করে গণমতামত নির্ভর গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের মধ্যেই স্বাধীন রাষ্ট্রসত্তার সফলতা নিহিত। রাজনৈতিক চেতনা-শিক্ষা-পরিশীলিত আচার আচরণের প্রসার ও শিষ্টাচার বহির্ভূত কার্যকলাপ পরিহারে জনমতের সমৃদ্ধিকরণ গঠনমূলক রাজনীতির ব্যঞ্জনা তৈরি করে। ব্যক্তির মতামত ও সামষ্টিক মূল্যায়নে স্বাধীনচেতা-দেশপ্রেমিক-সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় অকুতোভয় নির্ভীকতায় দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার যথার্থ পদক্ষেপ গ্রহণই রাজনীতির পবিত্রতম প্রপঞ্চ। দলীয় আনুগত্যের বিপরীতে জাতিরাষ্ট্রের প্রতি আদর্শিক আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশে বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্মাণ সুস্থ ও সুষ্ঠু রাজনীতির উৎসস্থল। রাষ্ট্র পরিচালনার নানামুখী পর্যায়ে ব্যক্তির অংশগ্রহণমূলক পরিক্রমায় স্থিতিশীল পরিবেশ ও পরিস্থিতি সমুন্নত রেখে বিশ্বপরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নে রাজনৈতিক শক্তির সুদূরপ্রসারী মেধা ও প্রজ্ঞার প্রয়োগ প্রত্যাশিত।
মূলত রাজনৈতিক সংস্কৃতি, উপ-সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সর্বত্র জনদুর্ভোগ লাঘব ও জনসাধারণের অধিকার-স্বার্থ-নৈমিত্তিক প্রয়োজনে রাষ্ট্র কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সমূহের সৃজন-মননশীল বিকাশধারা নিশ্চিত করা। সমাজপ্রগতির সাথে ভারসাম্য ও পরিবর্তনশীলতার আনুষ্ঠানিক উপাদান সমূহের কার্যকর অনুশীলনে রাজনৈতিক সংস্কৃতির সাবলীল সৌকর্য উদ্ভাসিত হয়। জ্বালাও-পোড়াও-ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে দেশবাসীকে জিম্মি করে কদর্য পন্থায় অধিকার আদায় রাজনৈতিক উপ-সংস্কৃতিকে কখনো পরিশুদ্ধ করে না। বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ-সেমিনার-সিম্পোজিয়াম- মানববন্ধন- প্রতিবাদী মিছিল-র‌্যালি শোভিত কর্মসূচি কেন্দ্রিক জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণই গঠনমূলক রাজনীতির সুন্দরতম ভাষা। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশভারত-পাকিস্তানি শাসন-মহান মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতা পরবর্তী দেশ পুনর্গঠন-৭৫ পরবর্তী সেনা ও স্বৈর শাসনের নির্লজ্জ শাসনামল-প্রায় একযুগ ধরে চলমান সরকারের অধীনে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিপ্রেক্ষিত পর্যালোচনা আবশ্যক। দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি-জঙ্গিবাদ-সাম্প্রদায়িকতা-সামাজিক ও রাজনৈতিক সহিংসতার মোড়কে রাষ্ট্রের পর্যুদস্ততা-জনগণের অসহায়ত্ব-করোনাকালীন জীবন জীবিকার আর্তনাদ ইত্যাদি মনুষ্যত্ব-মানবিকতা বিচ্যুত অশুভ শক্তি কিভাবে জাতিরাষ্ট্রের চরিত্রকে কলুষিত করছে তারও ব্যাখ্যা প্রয়োজন। রাজনীতির আবরণে অর্থ-ক্ষমতালিপ্সু কথিত রাজনীতিবিদদের নরপশুতুল্য বিবেকবর্জিত অবৈধ বাণিজ্য-ভূমি দখল-প্রভাব বিস্তারে প্রান্তিক পর্যায়ের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শহর-নগরের প্রতিটি অলি-গলিতে প্রোৎসাহিত হিংস্র বাহিনীর তাণ্ডব-দুর্ধর্ষ কর্মকান্ডে জনজীবন নিস্প্রভ-নিরীহ-প্রাণস্পন্দনহীন রূপ পরিগ্রহ করে চলছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থাসমূহের নিস্ক্রিয়তায় তাদের সচল কর্মস্পৃহা-আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। কিশোর গ্যাং-মাদকসেবী-সন্ত্রাসীদের অপকর্মই যেন ক্ষেত্রবিশেষে অধিকতর সমাদৃত হচ্ছে। জনদুর্ভোগ লাঘবের চেয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারীদের কঠোর হস্তে দমনের বিপরীতে কথিত নেতৃত্বের ভূমিকায় সরকারের সহনশীলতা-নীরবতা প্রকাশ পেলে দুষ্টচক্রের কুৎসিত গতিপ্রবাহ প্রগাঢ় অনুপ্রাণিত হবে।
আত্মসংযম-আত্মসমালোচনা-আত্মশুদ্ধির সকল শুভ উদ্যোগকে প্রচণ্ড ভ্রুক্ষেপে দেশে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের হতাহতের ঘটনা ঘটছে। পূর্বে এটি দু’টি বিপরীত দল বা গোষ্ঠীর মধ্যে হলেও বর্তমানে অন্তঃদল বা গোষ্ঠীতে সেটি বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে দলের পদ-পদবী আদায়, ভূমি-ব্যবসা-বাণিজ্যের জবরদখল, চাঁদা-টেন্ডারবাজি, ঠিকাদারী-হাটের ইজারাসহ বিভিন্ন অবৈধ-অনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে এলাকায় নিজেদের কর্তৃত্ব ধরে রাখতে এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনসহ যেকোন নির্বাচনের আগে তার মাত্রা অধিকতর বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সংস্থার তথ্যমতে, বেশিরভাগ রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে নিজ দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে। আপরাধ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশে চলছে দুর্বৃত্তায়ন। আদর্শিক রাজনীতির অভাবে প্রতিপক্ষ দল ছাড়াও নিজ দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত-বিরোধ-বিচ্ছেদ অতিশয় দৃশ্যমান। ২০১৬ সালে বিরোধী দলের বয়কট করা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সহিংসতায় নিহত হওয়া ১১৬ জনের মধ্যে ৭১ জনই ছিল ক্ষমতাসীন দলের। ১০ এপ্রিল ২০১৮ গণমাধ্যমে প্রকাশিত মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে ৮৪৫টি সহিংস ঘটনায় ১০ হাজার ১৪৫ জন আহত ও ১৪৬ জন নিহত হয়। বিএনপির ১৬০টি ঘটনায় আহত-নিহত হওয়ার সংখ্যা ১ হাজার ৭০২-১৪ জন।
২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরির (বিপিও) ‘শান্তি পরিস্থিতি ২০১৮’ শীর্ষক প্রকাশিত গবেষণার তথ্য-উপাত্তে জানা যায়, সহিংস যেকোন ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক দল ও দলের কর্মীরা জড়িয়ে পড়ছে। গবেষকদের মতে, সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হলে রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পুনর্মূল্যায়ন করার সময় এসেছে। রাজনীতি চর্চার সর্বস্তরে গণতন্ত্র ও অহিংস আচরণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সময়োপযোগী পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আগামীতে পরিস্থিতি অধিকতর ভয়াবহ হতে পারে। সরকার কর্তৃক গৃহীত নানা উদ্যোগে দেশে সন্ত্রাসবাদের রাশ টেনে ধরা সম্ভব হয়েছে এবং গবেষণায় বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অগ্রগণ্য দৃশ্যপটও প্রতিফলিত হয়েছে। উক্ত গবেষণায় দেশের রাজনৈতিক সহিংসতা, নারীর প্রতি সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদ, সংখ্যালঘুদের উপর সহিংসতার চিত্রও প্রকাশ পেয়েছিল। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের দাবি অনুযায়ী, সম্প্রতি কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে কুরআন অবমাননার কথিত অভিযোগে দেশব্যাপী তিন দিন ধরে বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৭০টি পূজামণ্ডপে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ২ নভেম্বর ২০২১ তারিখ প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় বিব্রত বোধ করে যে বক্তব্য প্রদান করেছেন; তাতে সহিংসতা কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে তা সহজে অনুমেয়।
প্রাসঙ্গিকতায় মুক্তির মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বজ্রকঠিন নির্দেশগুলো নতুন করে জাতিকে জাগ্রত করার লক্ষ্যে নিবিড় অনুসরণ ও অনুশীলন আবশ্যক। কঠোর আত্মসংযম-আত্মনির্ভরশীল-আত্মউপলব্ধির শিক্ষায় মনোযোগী হওয়ার প্রচন্ড তাগিদ-আকর্ষণ এখনো নিগূঢ় অনুভূত। ১৯৭২ সালের ৯ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের প্রথম কাউন্সিল অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘স্বাধীনতা, রাজনৈতিক স্বাধীনতা পাওয়া যেতে পারে, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না হলে রাজনৈতিক স্বাধীনতাও ব্যর্থ হয়ে যায়।’ বঙ্গবন্ধু আরো বলেন, ‘কেবল আওয়ামী লীগের সরকার চলবে না। সঙ্গে সঙ্গে জনগণের ও সরকার। সাড়ে সাত কোটি মানুষ, মানুষের সরকার। এটা সম্বন্ধে পরিষ্কার থাকা দরকার। আপনাদের কাজ করতে হবে। প্রতিষ্ঠানকে সুশৃঙ্খল করতে হবে।’ উল্লেখ্য ভাষণে অমিয় বার্তা ছিল, ‘বিরোধী দলে থাকা এক রকমের পন্থা, আর সরকারের পক্ষে রাজনীতি করা অন্য রকম পন্থা এবং সেখানে গঠনমূলক কাজের দিকে মানুষকে এগিয়ে যেতে হবে, অত্যাচার অবিচার যেন না হয়। জুলুম যেন না হয়, লুটপাট যেন না হয়। দেশের মানুষকে সেবা করে মন জয় করতে হবে।…. দুঃখি মুখে হাসি ফোটাতে হবে। …. ক্ষমতার জন্য আওয়ামী লীগ জন্মগ্রহণ করে নাই। বাংলাদেশে শোষণহীন সমাজ গঠন করার জন্যই আওয়ামী লীগ জন্মগ্রহণ করেছে। শোষণহীন সমাজ গড়ে তুলতে হবে।…. লোভের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। লোভ যেখানে ধ্বংস সেখানে। একবার যদি কেউ লোভী হয়ে যান, সে জীবনে আর মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না।’
১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ কর্মী ভাইয়েরা, কোনদিন তোমরা আমার কথা ফেলো নাই। জীবনে আমি কোন দিন কন্টেষ্ট করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বা প্রেসিডেন্ট হই নাই। কোন দিন স্বার্থে অন্ধ হয়ে তোমাদের ডাক দেই নাই। কোনো দিন কোন লোভের বশবর্তী হয়ে কোনো শয়তানের কাছে মাথা নত করি নাই। কোনো দিন ফাঁসির কাষ্ঠে বসেও বাংলার মানুষের সঙ্গে বেঈমানী করি নাই। …..আমি বিশ্বাস করি তোমরা আমার কথা শুনবা, তোমরা আত্মসমালোচনা করো, আত্মসংযম করো। তোমরা আত্মশুদ্ধি করো। তাহলেই দেশের মঙ্গল করতে পারবা।……… কিন্তু কিছু কিছু লোক যখন মধু-মক্ষিকার গন্ধ পায় তখন তারা এসে আওয়ামী লীগে ভীড় জমায়। আওয়ামী লীগের নামে লুটতরাজ করে। পারমিট নিয়ে ব্যবসা করার চেষ্টা করে। আওয়ামী লীগ কর্মীরা, আওয়ামী লীগ থেকে তাদের উৎখাত করে দিতে হবে- আওয়ামী লীগে থাকার তাদের অধিকার নাই। তাই বলছি, আত্মসমালোচনার প্রয়োজন আছে, আজ আত্মসংযমের প্রয়োজন আছে, আজ আত্মশুদ্ধির প্রয়োজন আছে।’
রাজনৈতিক সংস্কৃতির ইতিবাচক ঐতিহ্যকে ধারণ করে সুদূর অতীত থেকে প্রতিভাত অভিজ্ঞতায় রাজনীতিক নেতৃত্ব জনগণের হৃদয় জয়ে ব্যর্থ হলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় শুধু প্রতিবন্ধকতারই দুর্ভেদ্য প্রাচীর নির্মিত হবে। বর্ণচোরা-অনুপ্রবেশকারী-সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জাতীয় চার নেতাসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা হত্যার পিছনে পাপিষ্ঠ কুশীলবদের মুখোশ উম্মোচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে। চৌকস-দেশপ্রেমিক ব্যক্তিত্বের সমন্বয়ে বিচার বিভাগীয় সুক্ষ্ম-বস্তুনিষ্ঠ-নৈর্ব্যক্তিক তদন্তের মাধ্যমে এসব অপশক্তি-অন্ধকারের পূজারীদের চিহ্নিত করতে জাতি ব্যর্থ হলে তাদের ঘৃণ্য চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র থেকে পরিত্রাণ কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে পড়বে। তাই সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পর্যাপ্ত যাচাই বাচাই সাপেক্ষে যোগ্য ব্যক্তিদের যোগ্যস্থানে পদায়ন করে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখতে হবে। অর্থের বিনিময়ে নয়; বিবেকপ্রসূত যুক্তি-জ্ঞাননির্ভর চিন্তা-চেতনার উম্মিলনে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অন্যথা হলে জাতি রাষ্ট্র যারপরনাই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হবেই।
লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহল্যান্ড থেকে
পরবর্তী নিবন্ধশরণার্থী, নারীবাদ এবং একজন নারী ভ্রমণকারীর গল্প