পিতাকে মারধরের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় ছেলে মো. শাখাওয়াত শাহরিয়ার চৌধুরীকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটায় নগরীর কাপাসগোলা রোডের আকবরশাহ লেইনের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার শাখাওয়াত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. জাফরুল আলম চৌধুরীর ছেলে।
শাখাওয়াত মাদকাসক্ত জানিয়ে পুলিশ বলছে, মাদক নিতে ছেলে প্রায় সময় বাবার কাছ থেকে টাকা চাইত। গত শুক্রবারও মাদকের জন্য সে টাকা চায়। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বাবা জাফরুল আলম চৌধুরীকে মারধর করে শাখাওয়াত। পরে বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা (মামলা নং-২) করেন। মামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটায় ছেলেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ তথ্য নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার ওসি (তদন্ত) মো. কামাল উদ্দিন আজাদীকে বলেন, গ্রেপ্তারের পর শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মো. জাফরুল আলম চৌধুরীর দুই ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ে চিকিৎসক আর ছোট ছেলে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছেন। বড় ছেলে শাখাওয়াত শাহরিয়ার চৌধুরী বেকার ও মাদকাসক্ত বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কাপাসগোলা রোডের বাসায় অজু করছিলেন বাবা জাফরুল আলম চৌধুরী। এ সময় মাদকাসক্ত বড় ছেলে শাখাওয়াত শাহরিয়ার চৌধুরী এসে পূর্বের ন্যায় মাদক সেবনের জন্য টাকা চায়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বাবাকে মারধর করে বাথরুমে ফেলে দেয় ছেলে। একপর্যায়ে চেয়ার দিয়ে আঘাত করলে বাবার মাথা ফেটে যায়। বাবার চিৎকার শুনে ছেলের মা ছুটে এলে তাকেও শাসায় শাখাওয়াত।
পরে ছোট ছেলে ও মেয়ে বাসায় এসে বাবাকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে বাবা বাদী হয়ে এ ঘটনায় পাঁচলাইশ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতেই ছেলেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে বাবা জাফরুল আলম চৌধুরী বলেন, আমার এক সন্তান ডাক্তার, এক সন্তান ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। কিন্তু বড় ছেলেকে পড়াশোনা করানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও পারিনি। তাকে আমি এর আগে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। কিন্তু তার মা সেখান থেকে নিয়ে আসে। এর আগে তাকে কয়েকবার জেল হাজতেও পাঠিয়েছি। তার মা সেখান থেকেও তাকে বের করে নিয়ে আসে।