১৫ বছরের আগের ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ড

বান্দরবানে ব্যবসায়ীকে হত্যা করে মাটিচাপা

বান্দরবান প্রতিনিধি | বুধবার , ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৫:১১ পূর্বাহ্ণ

২০০৭ সালে বান্দরবানে এক গরু ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড ও এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে এলাহী ভূঁইয়ার আদালত এই আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন উচিংনু মারমা (২২), উবা চিং মারমা (৩০), চিংনু মং প্রকাশ হদা (২৩), মংনুমং প্রকাশ মংনু (৫০) এবং মংথু প্রকাশ মং ক্যাসিং মারমা। এদের প্রথম চারজন সদর উপজেলার লুলাইন হেডম্যান পাড়ার এবং শেষেরজন লুলাইন পুনর্বাসন পাড়ার বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় প্রধান আসামি উচিংনু মারমা আদালতে উপস্থিত থাকলেও বাকিরা পলাতক ছিলেন।
আদালত ও আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, রোয়াংছড়ি উপজেলার খানসামা পাড়া থেকে চন্দনাইশের গরু ব্যবসায়ী ছোট্ট মিয়াকে (৪৫) অপহরণ করে গলা কেটে হত্যা করে হ্লাপাইক্ষ্যং মৌজাস্ত সারাম্রাং ঝিরিমুখে মাটি চাপা দেয় আসামিরা। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই আমজু মিয়া বাদী হয়ে বান্দরবান সদর থানায় ২০০৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে প্রধান অভিযুক্ত উচিংনু মারমা গ্রেপ্তার হলে তিনি ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে বাকি ৪ আসামির তথ্য দেন। অবশেষে দীর্ঘ ১৫ বছর পর সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত গতকাল ৫ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান জানান, ভিকটিম ছোট্ট মিয়া চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার দিয়াকুল এলাকার মৃত আনু মিয়ার পুত্র। গরু কিনতে গিয়ে তিনি রোয়াংছড়ি উপজেলার খানসামা বাজার থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন। পরবর্তীতে পুলিশ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ প্রধান অভিযুক্ত উচিংনু মারমার বর্ণনামতে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে ভিকটিম ছোট্ট মিয়ার গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএবার উখিয়া সীমান্তে গোলা বর্ষণ
পরবর্তী নিবন্ধস্ত্রী ও দুই সন্তানসহ এমপি জাফরকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ