শ্যালিকার ছেলে অপহরণ দুলাভাইয়ের যাবজ্জীবন

| বৃহস্পতিবার , ২ মার্চ, ২০২৩ at ৬:০২ পূর্বাহ্ণ

রাউজান থানার ২৪ বছর আগের শিশু আজাদকে () অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামাল উদ্দীন নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল৩ এর বিচারক ফউজুল আজিমের আদালত এই রায় দেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন, রাউজান থানার কোতোয়ালী ঘোনা এলাকার মাহামুদুল হকের ছেলে জামাল উদ্দীন। খবর বাংলানিউজের।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে রাউজান থানার নোয়াপাড়া থানার চৌধুরী ঘাট এলাকায় বিলকিছ আকতার তার দুই ছেলে শাহজাহান (১২) ও আজাদ () এবং মেয়ে শাকিলাকে নিয়ে বসবাস করেন। তার স্বামী সৌদি আরব প্রবাসী ছিলেন। বিলকিছ আকতারের বড় বোনের জামাই জামাল উদ্দীন শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন। ১৯৯৪ সালে আবুধাবি যাওয়ার সময়ে বিলকিছ আকতারের স্বামীর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ধার নেয়। দুই বছর পরে দেশে ফিরে এসে ঐ টাকা ফেরত না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে।

১৯৯৮ সালের ৩ নভেম্বর বিকেলে বিলকিছ আকতারের ছোট ছেলে আজাদকে দেখতে না পেয়ে আশেপাশে, আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করতে থাকেন। পরদিন সকালে প্রতিবেশী মাস্টারের বাড়িতে জামাল ফোন করে বিলকিছ আকতারের বড় ভাই ইউসুফ সওদাগরকে ডেকে নিয়ে বলে যে, সে আজাদকে নিয়ে গেছে এবং কেনো নিয়ে গেছে সেটা তার ঘরের বেড়ার আয়নার পেছনে রাখা চিঠিতে লেখা আছে। ফোন পেয়ে ইউসুফ সওদাগর চিঠিতে জানতে পারে যে, ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণের জন্য আসামি জামাল আজাদকে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করেছে। এ ঘটনায় ১৯৯৮ সালের ৪ নভেম্বর বিলকিছ আকতার তার বড় ভাই মো. ইউসুফ সওদাগরের মাধ্যমে রাউজান থানায় মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৯ সালের ১২ মে আসামি জামাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া দেন পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জ গঠন করেন আদালত। এই মামলায় আদালতে ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল৩ এর স্পেশাল পিপি জিকো বড়ুয়া বলেন, ২৪ বছর আগে শিশু অপহরণের মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯৫ এর ১৩ ধারায় আসামি জামাল উদ্দীনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় আসামি পলাতক ছিলেন। আসামি জামাল উদ্দীনের সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনায় পিপিকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট শিমুল বড়ুয়া।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকর্ণফুলী দখল ও দূষণমুক্ত করার দাবি
পরবর্তী নিবন্ধপ্রাথমিকে বৃত্তির সংশোধিত ফল প্রকাশ