কর্ণফুলী দখল ও দূষণমুক্ত করার দাবি

এক ঘাট থেকে আরেক ঘাটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

| বৃহস্পতিবার , ২ মার্চ, ২০২৩ at ৬:০১ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলী রক্ষায় তিন দিনব্যাপী সাম্পান খেলা ও চাটগাঁইয়া সাংস্কৃতিক মেলার প্রথম দিন ‘বিনি সূতার মালা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে নদী দখল ও দূষণমুক্ত করার দাবি এসেছে। গতকাল বুধবার নদীতে ভাসমান মঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি এক ঘাট থেকে অন্যঘাটে ঘুরে ঘুরে কর্ণফুলী দখল দূষণমুক্ত করার গুরুত্ব সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য নদী ব্যবহারকারীদের মধ্যে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় আঞ্চলিক গান ও পাহাড়ি নৃত্যের আয়োজন করা হয়। ভাসমান মঞ্চ কর্ণফুলী নদীর সদরঘাট, চরপাথরঘাটা সাম্পান ঘাট, গাইজ্জার ঘাট, তোতার বাপের হাট, কালুরঘাট বোয়ালখালী হয়ে নগরের ব্রিজ ঘাট অভয়মিত্র ঘাট ও বাংলাবাজার এসে শেষ হয়। খবর বাংলানিউজের।

বিনি সূতার মালার উদ্বোধন করেন সাম্পান খেলা ও চাঁটগাইয়া সাংস্কৃতিক মেলার প্রধান সমন্বয়ক শাহেদুর রহমান শাহেদ। উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী ফরিদের সভাপতিত্বে ও সমন্বয়ক এসএম পেয়ার আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডায়মন্ড সিমেন্টের পরিচালক হায়দার আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন আবদুর রাজ্জাক। কর্ণফুলী নদী দখল দূষণমুক্ত করার গুরুত্ব সম্পর্কে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলীউর রহমান। হায়দার আলী বলেন, কর্ণফুলী রক্ষায় সংস্কৃতির সুদৃঢ় বন্ধন বিনি সূতার মালা। এক ঘাট থেকে আরেক ঘাটে ঘুরে ঘুরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার এই নান্দনিক আয়োজন সাম্পান মাঝিদের সার্বিক সহযোগিতার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে। সাম্পান ঘাট ঘাটে সাম্পান মাঝি না থাকলে আমাদের সাম্পান চট্টগ্রামের ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে। যা কিছুতেই হতে দেওয়া যাবে না।

তিনি ব্যবসায়ী ও নদী ব্যবহারকারী চট্টগ্রাম বন্দরকে নদীর সীমানায় না আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জীবন্ত ও সুস্থ রাখতে হলে কর্ণফুলীকে নিজস্ব ধারায় প্রবহমান রাখতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

সনজিত আচার্যের পরিচালনায় বিনি সূতার মালায় আঞ্চলিক গান পরিবেশন করেন শিল্পী গীতা আচার্য্য ও শীলা চৌধুরী। পলিয়ন মোবাংয়ের পরিচালনায় মারমা ত্রিপুরা নৃত্য পরিবেশন করেন শ্রীদেবী ত্রিপুরা, মেমাসিং মারমা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকর্ণফুলী নদী থেকে ২০ মণ জাটকা জব্দ
পরবর্তী নিবন্ধশ্যালিকার ছেলে অপহরণ দুলাভাইয়ের যাবজ্জীবন