শিগগিরই শুরু হবে নতুন ব্রিজ নির্মাণের কাজ

নাজিরহাট পুরাতন ব্রিজ পরিদর্শনকালে সেতু সচিব

হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি প্রতিনিধি | শনিবার , ১০ জুন, ২০২৩ at ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ

উত্তর চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী নাজিরহাট পুরাতন ব্রিজ (হালদা সেতু) পরিদর্শন করেছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। এসময় তিনি বলেন, সরকার জনগণের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে। নাজিরহাট পুরাতন সেতুটিও মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের একটি পথ। দীর্ঘদিন মানুষ এখানে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। দুই উপজেলার লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণের দাবি মেটাতে দুই পাড়ের জনপ্রতিনিধিসহ সকল শ্রেণির মানুষ দাবি জানাচ্ছে। তাই আমি আজ সেতুটি পরিদর্শনে আসলাম। এখানে পরিবেশ অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক বিভাগ, সেতু বিভাগসহ অনেক দপ্তরের সম্মিলিত প্রয়াসেই নতুন করে নির্মাণ হবে নাজিরহাট পুরাতন সেতু।

তিনি গতকাল শুক্রবার সকালে জরাজীর্ণ সেতুটি পরিদর্শন করেন। এসময় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি এই নাজিরহাট পৌরসভার ভোটে জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়জুক্ত করলে উন্নয়নের কাজ আমি নিজেই করব। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব পুরাতন ঝরাজীর্ণ এই সেতু পরিদর্শনে এসেছেন। এই নাজিরহাট সেতুটা বাস্তবায়িত হলে হাটহাজারীফটিকছড়িবাসীর বহুদিনের দাবি খুব শীঘ্রই বাস্তবায়ন হবে।

নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র এ কে জাহেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা, ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির রহমান সানি, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহিদুল আলম, জেলা পরিষদ সদস্য এইচ এম আলী আবরাহ, ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলম শওকত, ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান এডভোকেট সালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন, চেয়ারম্যান শফিউল আজম, চেয়ারম্যান শোয়াইব আলসালেহীন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী সাবরিনা চৌধুরী, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা জাফর আলম, হারেস মিয়া, বোরহান আহমেদ, মাসুদ পারভেজ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, নাজিরহাটে হালদা নদীর ওপর ১৯৩০ সালে নির্মিত হয়েছিল লোহার সেতু। পুরাতন হালদা সেতু নামে পরিচিত সাড়ে তিনশ ফুট দীর্ঘ ও ১২ ফুট চওড়া ৯৩ বছর বয়সী সেতুটিতে গাড়ি উঠলেই দুলতে থাকে। তবুও ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতু দিয়েই চলেছে যানবাহন। সড়ক ও জনপথ (সওজ) সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামখাগড়াছড়ি সড়কের সব যানবাহনই এক সময় পুরাতন হালদা সেতু দিয়ে চলাচল করত। সেতুটি ১৯৯৪ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। আট বছর আগে স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে সর্বশেষ এটি মেরামত করা হয়। তবে সংস্কারের উদ্যোগ না নিয়ে সেতুর মুখে ঝুঁকিপূর্ণ সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়ে দায় সেরেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর ওপরের কার্পেটিং স্থানে দেবে গেছে। এছাড়া দুই পাশের লোহার পাটাতনগুলো ভেঙে পড়েছে। নিচের খুঁটিগুলোর মাটিও সরে গেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসমুদ্র সংক্রান্ত আলাদা মন্ত্রণালয় গঠনের প্রস্তাব দেয়া হবে
পরবর্তী নিবন্ধএকজন রত্নগর্ভার দিনলিপি