তীব্র গরমে জনজীবন অস্থির। দাবদাহে যখন মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা তখন সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র–শনিবারকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে হাজারো পর্যটকদের সমাগম হয়েছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ ও পর্যটকরা সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে স্বস্তি খুঁজছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা এবং লাবণী পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে ৫০ হাজারের অধিক পর্যটক সৈকতের এই তিনটি পয়েন্টে গোসলে নেমেছে।
সিরাজগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে ছুটি পেয়েই সমুদ্রস্নান করতে চলে এলাম কক্সবাজারে। খুবই আনন্দ লাগছে। পুরো পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। আরও কয়েকদিন ছুটি পেলে ভালো হতো এখানে থেকে যেতাম। সমুদ্রের পানি খুবই ঠাণ্ডা। অনেক ভালো লাগছে।’
ঢাকার লালবাগ থেকে আসা পর্যটক মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘কক্সবাজারে স্বস্তির জন্য আসলাম কিন্তু সবখানে খুবই গরম। এই গরমে সমুদ্রে গোসলে নামলাম। দারুণ অনুভূতি। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও অনেক ভালো। লাইফগার্ড কর্মীরা দূরে গেলেই বাঁশি বাজিয়ে সতর্ক করছেন।’
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কক্সবাজারে ঘুরতে এসে যেন নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন। এছাড়া সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে যেন অনাকাক্সিখত ঘটনা না ঘটে সেখানে কাজ করছেন সি সেইফ লাইফগার্ড কর্মীরা।
সি সেইফ লাইফগার্ডের সিনিয়র লাইফগার্ড রুহুল আমিন বলেন, কলাতলী, সুগন্ধা এবং লাবণী পয়েন্টে প্রায় ৫০ হাজারের অধিক পর্যটক গোসলে নেমেছে। এই তিনটি পয়েন্টই মূলত সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা কাজ করি। এই তীব্র গরমে কেউ উপরে থেকে সমুদ্র উপভোগ করছে না। সবাই সমুদ্রে নেমে যাচ্ছে এজন্য আমাদের জন্য একটু কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’ কক্সবাজার হোটেল–মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘ঈদের পরদিন থেকে পর্যটক সমাগম শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত অনেক পর্যটক কক্সবাজারে ঘুরতে আসছে। আমরা পর্যটন ব্যবসায়ীরা খুবই আনন্দিত। আমাদের ভালো ব্যবসা হচ্ছে।’
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ছাড়াও দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ, ইনানী–পাটুয়ারটেক সৈকত, মহেশখালী–সেন্টমার্টিন দ্বীপ এবং রামুর ঐতিহাসিক স্থানগুলোতেও ঘুরতে যাচ্ছে পর্যটকরা।