শাটল ট্রেনে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির অবসান হোক

| মঙ্গলবার , ২৮ জুন, ২০২২ at ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি ও শাটল ট্রেনের ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। শহর থেকে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে যাওয়া-আসার অন্যতম মাধ্যম হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব এই শাটল ট্রেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১৯৮০ সালে শাটল ট্রেন সার্ভিস চালু করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিদিন প্রায় দশ থেকে বার হাজার শিক্ষার্থী এই ট্রেনে যাতায়াত করে থাকে।

কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো শিক্ষার্থীদের চাহিদার তুলনায় শাটলের বগি সংখ্যা খুবই সীমিত। প্রয়োজনের তুলনায় অতি স্বল্প আসনে ভোগান্তির যেনো অন্ত নেই শিক্ষার্থীদের। ফলে বেশিরভাগ সময়ই শিক্ষার্থীদের দাঁড়িয়ে যেতে হয়। মাঝে মাঝে আবার দাঁড়ানোর জায়গাটুকুও পাওয়া যায় না। এজন্য ট্রেন স্টেশনে থামার আগেই সীট ধরার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। অনেকে আবার ট্রেনের ভেতরে জায়গা না পেয়ে জীবনের প্রচণ্ড ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের দরজার সামনে কিংবা ছাদে উঠে যাতায়াত করতে দেখা যায়। চলন্ত ট্রেনে এই সীট ধরার প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষার্থীই গুরুতর আহত হয়েছেন।

এছাড়াও ট্রেনের ভেতরে পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা না থাকায় অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটেছে। সেই সাথে ভেতরের ফ্যানগুলো বেশিরভাগই অকেজো থাকায় প্রচণ্ড গরমে দীর্ঘক্ষণ যাত্রায় শিক্ষার্থীরা শ্বাসরুদ্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়ে যায়। এসব ভয়ানক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বেশ আগে থেকেই শুরু করেছে বগি বাড়ানোর আন্দোলন। শাটল ট্রেনে শিক্ষার্থীদের এসব ভোগান্তি যেন আজ নিত্যদিনের সঙ্গী।

তাই শিক্ষার্থীদের এসব ভোগান্তি দূরীকরণে শাটল ট্রেনের চলমান বগিগুলোর সাথে আরও কিছু বগি সংযুক্ত করার পাশাপাশি ডেমু ট্রেন পুনরায় চালু করা যেতে পারে। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে শাটল ট্রেন যাত্রা নিশ্চিত করতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

মোঃ শাকিল আহমদ
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাজী মোহাম্মদ দানেশ : তেভাগা আন্দোলনের অন্যতম নেতা
পরবর্তী নিবন্ধ‘নাট হাত দিয়ে খোলার কথা নয়, এটি অন্তর্ঘাতমূলক কাজ’