রোজায় স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হাই কোর্টে স্থগিত

শিক্ষা মন্ত্রণালয় যা জানাল

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ১১ মার্চ, ২০২৪ at ৮:১৫ পূর্বাহ্ণ

আসন্ন রোজার মাসের প্রথম দশ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৫ দিন নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দিয়েছে হাই কোর্ট। এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ গতকাল রোববার এ আদেশ দেয়।

রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ কে এম ফয়েজ। সঙ্গে ছিলেন রিটকারী অ্যাডভোকেট মাহমুদা খানম। মাহমুদা খানম বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত জানায়। এছাড়া ১১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারিবেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খবর বিডিনিউজের।

তিনি বলেন, রমজানে স্কুলের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের স্কুলে যেতে এবং বাড়ি ফিরতে যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তাই তাদের পক্ষে রোজায় বিদ্যালয়ে যাওয়াআসা করা কষ্টকর। বিষয়টি বুঝিয়ে বলার পর আদালত সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রথম রোজা থেকে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন এবং এ বিষয়ে দুই মাসের রুল জারি করেছেন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ মার্চ দেশে রোজা শুরু হতে পারে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ৮ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণ করতে ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করে রোজার প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১১ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত সরকারিবেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় যা জানাল : বাংলানিউজ জানায়, রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার বিষয়ে হাই কোর্ট যে রায় দিয়েছে তার কপি পেলে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার বিষয়ে হাই কোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের অবস্থান জানিয়ে দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, এখনো রায়ের কপি পাওয়া যায়নি। রায়ের কপি পেলে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, তারাও রায়ের কপি পাননি। কপি পেলে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগাছের জন্য শোকসভা
পরবর্তী নিবন্ধদ্রব্যমূল্য নিয়ে টেনশনে মানুষ