প্রাণহানি ঠেকাতে স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস

মতিঝর্ণা পাহাড় পরিদর্শনে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনার

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৯ জুন, ২০২১ at ৭:১৯ পূর্বাহ্ণ

নগরীর লালখান বাজারের মতিঝর্ণা পাহাড় পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান ও জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক অবৈধ বসতি, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস সহ বিভিন্ন দিক পরিদর্শন করেন।
জেলা প্রশাসন জানায়, মতিঝর্ণার পাশাপাশি আকবরশাহ এলাকার একটি পাহাড়ও পরিদর্শন করেন বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক। এ সময় পাহাড়ে অবৈধ বসতি, পাহাড়ের অবস্থার পাশাপাশি সেখানে থাকা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনের একপর্যায়ে পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়।
এ বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করা হলে বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান আজাদীকে বলেন, ভারী বর্ষণের ফলে নগরীর পাহাড়গুলো ধসের আশঙ্কা থাকে। বিষয়টি সরেজমিন দেখতে মতিঝর্ণাসহ কয়েকটি পাহাড়ে গিয়েছি। সেখানে থাকা অবৈধ বসতিদের অবস্থা, বাড়িঘর, পাহাড় এসব দেখেছি। মতিঝর্ণার অবস্থা একটু নাজুক। আকবরশাহ এলাকার পাহাড় সে তুলনায় কিছুটা ভালো আছে। তবে তাদের জন্য করা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর অবস্থা ভালো রয়েছে। খাবার থেকে শুরু করে আলো-বাতাস, ফ্যান প্রয়োজনীয় সবকিছু রয়েছে সেখানে। তিনি বলেন, ভয় নিয়ে তো চলা যায় না। এটার (পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস) একটা স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে সবার সাথে কথা বলে আমরা একটি সিদ্ধান্ত নিব। এরপর প্রস্তাব আকারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে তা পাঠাবো। আমরা এ বিষয়ে আন্তরিক।
নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ ১৮টি পাহাড়ে যুগ যুগ ধরে অবৈধভাবে লোকজন বসবাস করে আসছেন। ভারী বৃষ্টিতে ঝুঁকি এড়াতে সেখান থেকে সরিয়ে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়। সেখানে থাকার ও খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু তারা সেখানে থাকতেই চায় না। প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে ফের ফিরে যাচ্ছে পাহাড়ে। ঘরে ঘরে লাগানো প্রশাসনের তালা ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে ঢুকে পড়ছেন। দু-একদিন ধরে চলা ভারী বৃষ্টির মধ্যেই দেখা গেছে এ চিত্র। জেলা প্রশাসন জানায়, ভারী বৃষ্টি শুরু হলে গত রোববার নগরীর ১৮ পাহাড় থেকে প্রায় দেড়শ থেকে দুইশ পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে (আশ্রয়কেন্দ্র) সরিয়ে নেয়া হয়। পরের দিন আরও ৩৫টি পরিবারকে সরানো হয়। কিন্তু আশ্রয়কেন্দ্র ও পাহাড়গুলোতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। সেখানে থাকছেন না তারা। আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় তারা চলে যাচ্ছেন। এছাড়া অনেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের লাগানো তালা ভেঙে পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে বসবাস করছেন।
উল্লেখ্য, নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের মধ্যে মতিঝর্ণা পাহাড় অন্যতম। এ পাহাড়ে শত শত অবৈধ বসতি রয়েছে। ৪ তলা থেকে শুরু করে ৭ তলা ভবনও রয়েছে এ পাহাড়ে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাড়ে তিনশো বছর আগেও লকডাউন হয়েছিল যে গ্রামে
পরবর্তী নিবন্ধসিআইইউতে শিক্ষা বিষয়ক ওয়েবিনার