প্রবাসীরা বিদেশ থেকে ফিরলেও প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে

ব্র্যাক ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সমন্বয় সভা

| বৃহস্পতিবার , ৯ মে, ২০২৪ at ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ

প্রবাসীরা বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি। সেই প্রবাসীদের বিদেশ যাওয়া যেমন নিরাপদ করতে হবে, তেমনি তারা বিদেশ থেকে ফিরলেও তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে। বিমানবন্দর থেকেই সেটি শুরু করতে হবে। সরকারিবেসরকারি সংস্থা সবাই মিলেই সেই কাজটি করতে হবে। এক্ষেত্রে একটি কাঠামো থাকা উচিত যাতে বিদেশফেরতরা প্রয়োজনীয় সহায়তা পায়।

গতকাল বুধবার সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ও ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের আয়োজিত সমন্বয় সভায় এসব কথা উঠে আসে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্র্যাকের যৌথ অর্থায়নে ইমপ্রুভড সাসটেইনেবল রিইন্ট্রিগ্রেশন অব বাংলাদেশি রিটার্নি মাইগ্রেন্টস (প্রত্যাশা) প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে বিদেশফেরত মানুষদের সহায়তা করার জন্য আমরা একটা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর তৈরি করতে চাই। যেহেতু চট্টগ্রাম থেকে অনেক বেশি লোক বিদেশে যান তাই ফেরত আসার তালিকায়ও চট্টগ্রামের অনেক মানুষ আছেন। ঢাকার পাশাপাশি যেহেতু চট্টগ্রামেও অনেক ফ্লাইট আসে তাই অনেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়েই ফেরত আসেন। এই মানুষদের সহায়তা করতে সমন্বিতভাবে কাজ করতে একটা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরের প্রয়োজন রয়েছে। সমন্বিতভাবে কাজ করলে আরও বেশি মানুষকে সহায়তা করা যাবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্মের এসোসিয়েট ডিরেক্টর শরিফুল ইসলাম হাসান বলেন, অনেক মানুষ শূন্য হাতে দেশে ফিরে। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের কার্যক্রম পরিচালনায় সম্পৃক্ত ধন্যবাদ জানিয়ে শরিফুল বলেন, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কার্যক্রম বাস্তবায়নরত সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ, প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক, ইমিগ্রেশন পুলিশ, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, এপিবিএন, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরসহ কর্মরত সকল সংস্থা আমাদের জরুরি সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করতে প্রতিনিয়ত সহায়তা করে আসছে বলেই আমরা বিদেশফেরত অভিবাসীদের জরুরি সহায়তা প্রদান করতে পেরেছি।

জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, বাংলাদেশের যে অঞ্চলগুলো থেকে বেশি মানুষ বিদেশে যান তার মধ্যে চট্টগ্রাম অন্যতম। বক্তব্য দেন, প্রত্যাশীর নির্বাহী পরিচালক মনোয়ারা বেগম, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সেন্ট্রাল এয়ার ট্রাফিক অফিসার বাহালুল হায়াত বিপুল, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার জিএসওটু স্কোয়াড্রন লিডার তারিক আজিজ মৃধা, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক সৈকত চৌধুরী, এপিবিএনএর সহকারী পুলিশ সুপার আলী নেওয়াজ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআগামীর বাংলাদেশ গড়তে যুবকদের দক্ষতার বিকল্প নেই
পরবর্তী নিবন্ধজাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা আজ