টানা দ্বিতীয় দিন দেশে ১৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত

| বৃহস্পতিবার , ২৭ জানুয়ারি, ২০২২ at ৮:৩৯ পূর্বাহ্ণ

 

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে টানা দ্বিতীয় দিনের মত ১৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে দেশে; ঢাকার পর চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগেও সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ হাজার ৫২৭ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে আরও ১৭ জনের। আগের দিন সাড়ে ৪৯ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে ১৬ হাজার ৩৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, যা মহামারীর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ; সেই সঙ্গে ১৮ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল। খবর বিডিনিউজের।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটের সময়, গত বছরের ২৮ জুলাই ১৬ হাজার ২৩০ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, মহামারীর মধ্যে সেটাই সর্বোচ্চ। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৩১ হাজার ৫২৪ জনে। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ২৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে।

গত ১২ জানুয়ারি শনাক্ত রোগীর মোট সংখ্যা ১৬ লাখের ঘরে পৌঁছেছিল। মাত্র ১৩ দিনে আরও এক লাখ রোগী শনাক্ত হওয়ায় মঙ্গলবার মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ছাড়ায়। সরকারি হিসেবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন এক হাজার ৫২ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৬০ হাজার ছয় জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। এই হিসেবে দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা এক লাখ ৪৩ হাজার ২৪৫ জন। অর্থাৎ এই সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল এক লাখ ২৮ হাজার ৭৮৭ জন। গত ১৯ জানুয়ারি ছিল ৫৯ হাজার ৮৫০ জন। অর্থাৎ, মাত্র এক সপ্তাহে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ১৩৯ শতাংশের বেশি। ডেল্টার সেই ধাক্কা সামলে বাংলাদেশের মহামারী পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল গত বছরের শেষে। ডিসেম্বরে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ঘোরাফেরা করছিল ২০০ থেকে ৩০০ এর ঘরে। শনাক্তের হার নেমে এসেছিল ২ শতাংশের নিচে। কিন্তু বিশ্বে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তার শুরুর পর জানুয়ারির শুরু থেকে বাংলাদেশেরও আবার দ্রুত উঠতে থাকে সংক্রমণের গ্রাফ। জানুয়ারির প্রথম দিনও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল চারশর নিচে, এখন তা ১৫ হাজারের বেশি থাকছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হারও থাকছে ৩০ শতাংশের উপরে। বুধবার শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ৬৪ শতাংশে। মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। গত বছরের ২৪ জুলাই শনাক্তের হার ছিল ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আর ২০২০ সালের ১২ জুলাই শনাক্তের হার ছিল ৩৩ দশমিক ০৪ শতাংশ, যা এ মাহামারীকালের রেকর্ড।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিভিন্ন স্থানে শীতবস্ত্র বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধসাংসদের লোকেরা আমার ওপর হামলা চালিয়েছে