একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা

স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে মেয়রের বৈঠক

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২ জুন, ২০২২ at ৪:০১ পূর্বাহ্ণ

নগর উন্নয়ন ও নাগরিক দুর্ভোগ নিরসন সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। বাড়ইপাড়া খাল খনন প্রকল্প, সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, নগরের জলাবদ্ধতা সমস্যা ও মশক নিধনসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এ বৈঠকে।

গতকাল বুধবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মন্ত্রী বাড়ইপাড়া খাল খনন প্রকল্প দ্রুত শেষ করা, মশক নিধন কার্যক্রমে গতি বৃদ্ধি এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) জনবল সমস্যার সমাধান করার পরামর্শ দেন। মেয়র ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের চেয়ে চট্টগ্রাম থোক বরাদ্দ কম পাওয়া, নিজস্ব অর্থায়নে নগরের খালনালা পরিষ্কারসহ অন্যান্য বিষয়গুলো তুলে ধরেন। তখন চসিকের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন মন্ত্রী। একইসঙ্গে চসিককে রাজস্ব আয় বাড়ানোর পরামর্শ দেন। মেয়র চসিকের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে মন্ত্রীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রেজাউল করিম চৌধুরী দৈনিক আজাদীকে বলেন, তিনি (মন্ত্রী) চট্টগ্রামের বিষয়ে আন্তরিক। বাড়ইপাড়া খাল খনন প্রকল্প, জলাবদ্ধতা ও মশক নিধনসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করেছি। বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের খোঁজখবর নিয়েছেন তিনি।

বাড়ইপাড়া খাল নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, বাড়ইপাড়া খালের কাজ তো শুরু হয়েছে। এজন্য তিনি (মন্ত্রী) সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া আমাদের নিজস্ব যেসব খালনালা আছে সেগুলো কর্পোরেশনের ফান্ড থেকে ব্যয় করে পরিষ্কার ও খনন করার বিষয়টি অবহিত করেছি। এ কার্যক্রম এখনো চলমান আছে। এটা নিয়েও তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

মেয়র বলেন, বাড়ইপাড়া খাল খনন প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত আছে। কিন্তু আমরা আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা করেছি। যদিও ভূমি অধিগ্রহণের কিছু জটিলতা আছে, আশা করছি সেগুলোও সমাধান হয়ে যাবে। মেয়র বলেন, আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েও কথা হয়েছে। ফিজিবিলিটি স্টাডি করে কোথায় কোথায় ফুটওভার ব্রিজ দরকার তা চিহ্নিত করা হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সড়কের উন্নয়ন করা হবে।

মশক নিধন কার্যক্রম প্রসঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মশক নিধন কার্যক্রম জোরালো করতে বলেছেন। তবে খালের বাঁধের কারণে খালনালায় পানি প্রবাহ স্থির থাকায় সেখানে মশার প্রজনন বেড়েছে, বিষয়টা আমি ওনাকে অবহিত করেছি। থোক বরাদ্দ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কীনা জানতে চাইলে মেয়র বলেন, আমি বলেছি ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন আট কোটি টাকা করে পেলেও আমরা পেয়েছি পাঁচ কোটি টাকা। তিনি রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির পরামর্শ দেন। তখন আমি জানিয়েছি, আইন অনুযায়ী ২৬টি খাত খেকে রাজস্ব আদায়ের সুযোগ থাকলেও আমরা সব খাত থেকে আদায় করি না। খাতগুলো থেকেও ধীরে ধীরে রাজস্ব আদায় করতে হবে। তবেই আমাদের রাজস্ব দ্বিগুণ হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশাহ আমানত থেকে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকার স্বর্ণ উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধকন্টেনার জাহাজ চলাচলে যুক্ত হচ্ছে তুরস্ক ও লিবিয়া