পবিত্র রমজান ও ঈদের আগে প্রবাসীরা দেশে বাড়তি অর্থ পাঠান, যাতে তাদের স্বজনরা কেনাকাটা ও ভালোভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারে। কিন্তু এবার ঈদের আগে রমজান মাসে উল্টো ঘটনা ঘটেছে, কমেছে প্রবাসী আয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মার্চ মাসের প্রবাসী আয়ের প্রতিবেদনে এমন তথ্য মিলেছে। গতকাল সোমবার হালনাগাদ এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, মার্চ মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রাতে যা ২১ হাজার ৮৬৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা হিসাবে)। খবর বাংলানিউজের।
চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২১০ কোটি মার্কিন ডলার, আর ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ মার্কিন ডলার। আগের বছর মার্চ মাসে এসেছিল ২০২ কোটি ২৪ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।
গত ২০২২–২৩ অর্থবছরে দেশে মোট প্রবাসী আয় দুই হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১–২০২২ অর্থবছরে মোট প্রবাসী আয় এসেছে দুই হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০–২১ অর্থবছরে রেমিটেন্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার, যা সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, চলতি বছর ঈদুল ফিতরের আগের মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৬ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ লাখ ৫২ হাজার ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬৯ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার।
আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। একক ব্যাংক হিসেবে সর্বোচ্চ ৪৯ কোটি ১৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। আর রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে।
ব্যাংকটির মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ১৪ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।