ইলেকট্রিক মোটর ঘোষণায় এলো সাড়ে ১৩ টন গুঁড়োদুধ

৫৫ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৯ মার্চ, ২০২৩ at ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ

ঢাকার নওয়াবপুরের পদ্মা সেফটি প্রোডাক্টস ২০ টন ইলেকট্রিক মোটর আমদানির ঘোষণা দিয়ে ১৩ হাজার ৫৩০ কেজি (সাড়ে ১৩ টন) নিডো ব্রান্ডের গুঁড়োদুধ নিয়ে আসে। গতকাল চালানটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষাকালে জালিয়াতির বিষয়টি উদঘাটন করেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার কর্মকর্তারা। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির মাধ্যমে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৫৫ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছেন জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

কাস্টমসের এআইআর শাখা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার নওয়াবপুরের পদ্মা সেফটি প্রোডাক্টসের নামে চালানটি শিপিং এজেন্ট বিএস কার্গো এজেন্সি লিমিটেডের মাধ্যমে দুবাই থেকে বন্দরে আসে ১৩ মার্চ। ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও আমদানিকারক জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেনি। কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের নজরদারি এড়িয়ে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় ছিলেন আমদানিকারক। পণ্য চালানের ধরন ও রপ্তানি বন্দর দুবাই অসামঞ্জস্য হওয়ায় চালানটির বিল অব লেডিং ব্লক করে নজরদারিতে রাখে কাস্টমসের এআইআর টিম। গতকাল দুপুরে কন্টেনারটি বন্দরের এনসিটি ইয়ার্ডে ফোর্স কিপডাউন করে এআইআর শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে। এতে ১৩ হাজার ৫৩০ কেজি নিডো ব্রান্ডের গুঁড়োদুধ পাওয়া যায়। রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা ছিল ৫৫ লাখ টাকা।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখার উপকমিশনার মো. সাইফুল হক জানান, আমদানিকৃত চালানের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পণ্য খালাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করা ও কঠোর আইনের আওতায় আনার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমন্ত্রীর পিএ পরিচয়ে প্রতারণা, যুবক গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধ৮ বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রী নিহত, একজন মহেশখালীর