৮ বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রী নিহত, একজন মহেশখালীর

সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় মারা গেছে ২২ জন

আজাদী ডেস্ক | বুধবার , ২৯ মার্চ, ২০২৩ at ৫:৩৪ পূর্বাহ্ণ

সৌদি আরবে ওমরাহ যাত্রীদের বাস দুর্ঘটনায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস। জেদ্দায় বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা বলেন, বাসে মোট যাত্রী ছিল ৪৭ জন। তার মধ্যে বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন ৩৫ জন। দুর্ঘটনায় নিহত হন মোট ২২ জন। তাদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকিদের বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধান চলমান। দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিহতদের মধ্যে একজন মহেশখালীর বলে মহেশখালী প্রতিনিধি জানিয়েছেন। তার নাম মো. আসিফ (২২)। তিনি উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের পূর্ব ফকিরা ঘোনা গ্রামের আহমদ উল্লাহর ছেলে। এদিকে মো. শেয়ায়েত (২৪) নামে মহেশখালীর আরো একজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বড় মহেশখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শা আ ম এনায়েত উল্লাহ বাবুল। নিহত বাকি বাংলাদেশিরা হলেন নোয়াখালীর সেনবাগের মো. শরিয়ত উল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল আওয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদনগরের রাসেল মোল্লা, গাজীপুরের টঙ্গির আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন রনি ও চাঁদপুরের কালু মিয়ার ছেলে রুক মিয়া। নিহতরা ওমরাহ পালন করতে মক্কা যাচ্ছিলেন। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন আল আখবারিয়া জানিয়েছে, ওমরাহ যাত্রীদের বাসটি খামিস মুশাইত শহর থেকে রওনা হয়ে মক্কায় যাচ্ছিল। স্থানীয় সময় সোমবার বিকাল ৪টার দিকে আসির প্রদেশের আকাবা শার সড়কে সেটি দুর্ঘটনায় পড়ে। একটি সেতুর ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি পাহাড়ি দেয়ালে ধাক্কা খায় এবং আগুন ধরে যায়। বাসটির ব্রেকে সমস্যা হয়েছিল।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা কবলিত বাসে যে ৩৫ জন বাংলাদেশি ছিল, তাদের মধ্যে ১৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্বজনদেরকে প্রয়োজনে জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের দুটো নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নম্বর দুটি হলো, প্রথম সচিব (শ্রম) মো. আরিফুজ্জামান +৯৬৬৫৩৮৬৪৩৫৩২ এবং কাউন্সেলর (শ্রম) কাজী এমদাদ +৯৬৬ ৫৫ ৩০২ ৬৮১৪।

মহেশখালী : মহেশখালী প্রতিনিধি জানান, নিহত আসিফের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত আসিফ ও শেফায়েত সৌদি আরবের খামিসে থাকতেন। তারা সম্পর্কে খালাতো ভাই। এদের মধ্যে বড় মহেশখালী ইউনিয়নের বড় ডেইল গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র মো. শেফায়েতও (২৪) নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বড় মহেশখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শা আ ম এনায়েত উল্লাহ বাবুল। বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. নুরুল ইসলামও শেয়ায়েতের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে বাংলাদেশ দূতাবাস ৮ জন নিহতের সংবাদ দিয়েছে।

সৌদি আরবে ওমরাহ হজের কাফেলা নিয়ে অবস্থানরত মহেশখালী ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী মাওলানা রফিকূল ইসলাম বকুল বলেন, মক্কা নগরীতে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে দুজন মহেশখালীর।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইলেকট্রিক মোটর ঘোষণায় এলো সাড়ে ১৩ টন গুঁড়োদুধ
পরবর্তী নিবন্ধএক পরিবারের তিনজনের বেশি ব্যাংক পরিচালক নয়