আবোল তাবোল এখনও প্রিয় বইগুলির একটি

ময়ুখ চৌধুরী | শুক্রবার , ২১ জানুয়ারি, ২০২২ at ১১:৪৫ অপরাহ্ণ

স্ব-নামে ধন্য কবি ময়ুখ চৌধুরীর জন্ম ১৯৫০ সালে। তিনি ১৯৮০-এর দশক থেকে নিজস্ব কাব্যগ্রন্থে ভাস্বর হয়ে উঠেছেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ কালো বরফের প্রতিবেশী প্রকাশিত হয় ১৯৮৯ সালে; সর্বশেষ কাব্যগ্রন্থ চরণেরা হেঁটে যাচ্ছে মুণ্ডুহীন প্রকাশিত হয় ২০২০-এ। দশটি কাব্যগ্রন্থ, একটি কাব্য সংকলন, একটি গবেষণাগ্রন্থসহ প্রায় পনেরর অধিক বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রতীতি(১৯৬৮), ও কবিতা(১৯৭০) তাঁর সম্পাদিত সাহিত্যপত্র।

কবি ময়ুখ চৌধুরীর সাথে আজকের বইবৈঠক।

বই আপনাকে কীভাবে আনন্দ দেয়?

বই আনন্দ দেয়, এ-কথা ঠিক। কিন্তু, কীভাবে দেয় সেটা তো বলা মুশকিল। মস্তিষ্কবিজ্ঞানের প্রামাণ্য তত্ত্ব-উপাত্তের ভিত্তিতে এর উত্তর সন্ধান করা যেতে পারে। উপনিষদের ভাষ্যমতে আত্মার আবরণ হিসেবে পঞ্চকোষের ভূমিকা বিদ্যমান। সেখানে আনন্দময়কোষকে সর্বোচ্চ স্থান দেওয়া হয়েছে। এমনকী প্রাণময়কোষ ও মনোময়কোষ অপেক্ষাও বেশি।
আনন্দ প্রসঙ্গে আমি বলতে চাই অনেকেই আনন্দ ও বিনোদনকে সমার্থক মনে করেন। প্রকৃতপক্ষে বিনোদন হলো আনন্দের স্থ্থূল অংশ।তাই বলা যায়, বিনোদন ব্যাপারটি স্থূল,আনন্দ হলো সূক্ষ্ম। আনন্দের সঙ্গে চিন্তাশক্তি ও মননশীলতার যোগ রয়েছে, যা বিনোদনের ক্ষেত্রে জরুরি নয়।

দিন বা রাতের কোন সময়টাকে বই পড়ার জন্য বেছে নেন?

দিন আর রাত বলে কথা নয়। বই পড়ার জন্য উপযুক্ত অবকাশ প্রয়োজন। স্কুলজীবনে পাঠ্যতিরিক্ত বই রাতেরবেলায় পড়তে বেশ ভালো লাগতো। বিশেষ করে অদ্ভুতরসের রূপকথা আর ভূতের গল্প। ভয়ানক রসের ডিটেকটিভ বইও পড়তাম রাতের বেলায়। এখন অন্যরকমের বই পড়ি, দিনে বা রাতে।

এখন কী পড়ছেন?

কয়েকদিন আগে সুনীলের উপন্যাস পড়েছি। এখন বালিশের পাশে বুদ্ধদেব বসুর উপন্যাস (এর কারণ আছে)।

সর্বশেষ পড়া কোন বই আচ্ছন্ন করে রেখেছে? কেন?

এই প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট কোনও উত্তর দিতে পারবো না।

দেশ-বিদেশের প্রিয় লেখকদের নাম জানতে চাই

সীমিত পরিসরে প্রিয় লেখকদের নামের তালিকা কি করা যায়!

প্রিয় কিছু বইয়ের নাম বলুন?

নয় বছর বয়সে পড়া আবোল তাবোল এখনও আমার প্রিয় বইগুলোর একটি।

এমন কোনও বই আছে, যা আপনার জীবনকে প্রভাবিত করেছে বলে মনে করেন

এখন আমার মনের যা অবস্থা, তাতে করে লা মিজারেবল-এর কথা মনে আসে।

বই চুরি করেছেন কখনো?

চুরি করি নি, তবে নিয়ে আর ফেরত দিই নি। তেমনি আমারও কিছু বই খুঁজে পাচ্ছি না।

বই পড়া নিয়ে অন্যের বা নিজের কোনও একটি উক্তি আমাদের সাথে ভাগ করতে পারেন

ফেসবুক পড়া আর বই পড়া এক জিনিস নয়।

ভূমিকা ও সাক্ষাৎকার গ্রহণ: আসমা বীথি

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগরীর ৪ স্পটে সিএনজি টেক্সিতে কিউআর কোড স্টিকার কার্যক্রম
পরবর্তী নিবন্ধকবি জসীম উদ্‌দীন স্মরণালোচনা