চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব, আহত ৯

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১০ মে, ২০২৪ at ৮:২৯ পূর্বাহ্ণ

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ও ধাওয়াপাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজের কাঁঠালতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের প্রায় ৯ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, কলেজের ইংরেজি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জাবের বিন জাফর, ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ইমতিয়াজ হোসেন ছাবের, ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের রিয়াজ উদ্দীন, অনার্স ২য় বর্ষের আবদুল মাজেদ ফয়সাল, ডিগ্রি ১ম বর্ষের মাহিবি তাজোয়ার, ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের এরফান আলম, ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের জনি, ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের মিজান ও ইশতিয়াক। আহত সবাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক সারওয়ার আজম বলেন, ছাত্রদের দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষ দুই পক্ষকেই ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তির সময় কাগজপত্র জমা দিতে শিক্ষার্থীদের খামের প্রয়োজন হয়। ২০ টাকার সেই খাম ১০০ টাকায় শিক্ষার্থীদের কিনতে বাধ্য করছেন সুভাষ মল্লিক ও তার অনুসারীরা। এমনকি প্রতিবাদ করায় কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীকেও তারা মারধর করেছে। আমরা বেশি দামে খাম বিক্রির কারণ জানতে চাওয়ায় তারা গায়ে পড়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। তাদের হামলায় আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।

তবে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক বলেন, সভাপতি মাহমুদুল করিম কিছুদিন ধরে ক্যাম্পাসে নেই। এখন হঠাৎ করে এসে মনিরুল ইসলাম মনির নামের একজন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দাবি করছে। কিন্তু আমাকে তো ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কিংবা মহানগর কমিটি এরকম কোনো নির্দেশনা দেয়নি। আমার পক্ষে তো তাকে সঙ্গে নিয়ে কলেজে রাজনীতি করা সম্ভব না। সে জন্য বারবার এসে আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।

কলেজ সূত্র বলছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম এবং সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজের মধ্যে বেশ পুরনো দ্বন্দ্ব রয়েছে। প্রায়ই ওই দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বেশ কিছুদিন ধরে কলেজে নিজের আধিপত্য হারিয়েছে সভাপতি মাহমুদুল করিম। তাই সবুজ মল্লিকের একচ্ছত্র আধিপত্যে ‘ভাগ বসাতে’ সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম মনিরকে ‘গুটি’ হিসেবে ব্যবহার করছেন মাহমুদুল। কিন্তু ‘রাজ্য’ ছাড়তে রাজি নন সবুজ। তাই এবার মাহমুদুলের পর তিনি মনিরকেও কলেজ ছাড়া করতে চান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপরীক্ষার হলে মোমবা‌তি সাথে নিয়ে আসার নির্দেশ
পরবর্তী নিবন্ধঅনলাইন জুয়ায় জড়িত সন্দেহে ৪৮,৫৮৬টি হিসাব স্থগিত