আজম খানকে হারানোর এক যুগ

| মঙ্গলবার , ৬ জুন, ২০২৩ at ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ

পপসম্রাট আজম খানকে হারানোর এক যুগ পূর্ণ হল গত সোমবার। ২০১১ সালের আজকের এই দিনে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান আজম খান। কিন্তু বাঙালির মনে তার জনপ্রিয়তা এখনও আগের মতোই রয়েছে। মাত্র ২১ বছর বয়সে ঢাকা উত্তরের সেকশন কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের সময়েই ব্যাপক সোচ্চার হয়ে ওঠেন প্রগতিশীল চেতনার ধারক এই পপ তারকা। সে সময়ের ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য হিসেবে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণসংগীত প্রচারে অংশ নেন তিনি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর গান নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন আজম খান। আখন্দ ভ্রাতৃদ্বয় আরও কয়েকজনকে নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ব্যান্ডদল ‘উচ্চারণ’। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশন অর্থাৎ বিটিভিতে ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ এবং ‘চার কালেমা সাক্ষী দেবে’ গান দুটি গেয়ে মুহূর্তেই দেশজুড়ে পরিচিতি পেয়ে যান আজম খান। রীতিমতো প্রশংসা আর তুমুল জনপ্রিয়তায় ভাসতে থাকে ব্যান্ডদল ‘উচ্চারণ’।

জানা গেছে, ১৯৭২ সালে নটরডেম কলেজ প্রাঙ্গণে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো দর্শকের সামনে গান করেন আজম খান। ১৯৭৩ সালের ১ এপ্রিল দেশে প্রথম কনসার্ট হয় ওয়াপদা মিলনায়তনে হারুন নামে জনৈক ব্যক্তির অবদানে। পরে ১৯৮২ সালে ‘এক যুগ’ নামে প্রথম ক্যাসেট বের হয় আজম খানের। তার প্রথম সিডি বের হয় ১৯৯৯ সালের ৩ মে ডিস্কো রেকর্ডিংয়ের প্রযোজনায়।

১৯৭৪১৯৭৫ সালের দিকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’ গানটি গেয়ে দেশব্যাপী হইচই ফেলে দেন তিনি। সংগীত জগতে আজম খানের ১৭টি গানের অ্যালবামসহ বেশ কিছু মিক্সড অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। তার অসংখ্য জনপ্রিয় গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু গান হলো-‘আমি যারে চাইরে’,‘অভিমানী তুমি কোথায়’, ‘একদিনতো চলে যাব’, ‘জীবনে কিছু পাব নারে’, ‘আসি আসি বলে তুমি আর এলে না’, ‘ও চাঁদ সুন্দর চাঁদ’, ‘চুপ চুপ অনামিকা চুপ’, ‘হারিয়ে গেছ খুঁজে পাব না’, ‘ঘুম আসে না’সহ আরও অসংখ্য খান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা হলে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়তে তুলতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধকবিতার উচ্চারণে রবীন্দ্র নজরুল জয়ন্তী