হাটহাজারীতে ৫ সপ্তাহে ১০ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ জন মারা গেছে। দুর্ঘটনায় অন্তত আহত হয়েছে আরো ২৬ জন। গাড়ি চলাচলের সংখ্যানুপাতে মহাসড়কের প্রস্থ ছোট হওয়া, গাড়ি পার্কির নিদিষ্ট স্থান না থাকায়, মহাসড়কের পাশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে গাড়ি পার্কিং এসব দুর্ঘটনার কারণ বলে মন্তব্য করেছেন পর্যবেক্ষক মহল। তাছাড়া রয়েছে অদক্ষ চালক, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোসহ নানা কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাপ্ত সংবাদ প্রকাশ।
দৈনিক আজাদীসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত দুর্ঘটনার তথ্যানুসারে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার হাটহাজারী–নাজিরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের সোনাইরকুল নামক স্থানে সিএনজি চালিত অটো রিঙার ধাক্কায় মাহাবুবুল আলম চৌধুরী প্রকাশ মাহাবু কোম্পানি নামে এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে। এর আগের দিন বুধবার পৌরসভার হাতিনার দিঘী নামক স্থানে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় মির্জাপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ পারভেজ নামে এক ব্যাক্তি মারা গেছে।
গত ১১ জুলাই মহাসড়কের ধলই ইউনিয়নের শাহজাহান শাহ মাজার গেইট এলাকায় মোহাম্মদ জাফর নামে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মারা গেছে। এই দুর্ঘটনায় আরো ৬ জন আহত হয়েছে। ১০ জুন ইছাপুরস্থ জালালী চৌধুরী ঘাটা এলাকায় সিএনজি চালিত অটো রিঙা দুর্ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছে। ২১ জুন পৌরসভা এলাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় রাহাতুল কবির নয়ন নামে এক ব্যাক্তি মারা গেছে।
২৭ জুন মোহাম্মদ মানিক নামে এক ব্যাক্তি সরকারহাট এলাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। দুর্ঘটনা আরো ১৫ জন আহত হয়েছে। ২৯ জুন চারিয়া কলঘর এলাকায় এক দুর্ঘটনায় মোহাম্মদ নূরুল আলম নামে এক ব্যাক্তি মারা গেছে। ১৮ জুলাই সিএনজি টেঙি দুর্ঘটনায় সত্তারঘাট সংলগ্ন এলাকায় মোহাম্মদ রাশেদ নামে এক মধ্য প্রবাসী রাউজানের বোনের বাড়ি থেকে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত।
উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুই পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এসব দুর্ঘটনায় আরো অন্তত ২৬ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েক জন চিকিৎসাধীন ও রয়েছে।
হাটহাজারী–নাজিরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কটি গাড়ি চলাচলের সংখ্যা অনুপাতে প্রস্থ ছোট হওয়া, গাড়ি পার্কি এর সুনির্দিষ্ট স্থান না থাকায়, সড়কের পাশে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি পার্কিং, অদক্ষ চালক, বৈধ কাগজ পত্র ছাড়া গাড়ি চালানোর কারনে সড়ক দূর্ঘটনা সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা। দুর্ঘটনা রোধকল্পে নাজিরহাট মহাসড়কটি জরুরি ভিত্তিতে প্রসস্থ করে ডিভাইডার স্থাপনের দাবি ক্রমে জোরদার হচ্ছে।