কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে ও হত্যার হুমকি দিয়ে পর্যটক গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় নতুন কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। গতকাল শুক্রবার আদালতে পর্যটক ওই গৃহবধূ ২২ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী স্বীকার করেছেন যে, কথিত ধর্ষক আশিক তার পূর্বপরিচিত। আদালতেও একই স্বীকারোক্তি দেয়া হয়েছে।
এ মামলার তদন্তকারী সংস্থা কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহি উদ্দিন আহমেদ বলেন, ভুক্তভোগী নারী এবং তার স্বামীকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী তিন মাস ধরে কক্সবাজারে অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। এছাড়াও এ মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলামের সাথেও তার পূর্ব পরিচয় থাকার কথা তিনি স্বীকার করেছেন। তবে অভিযুক্ত আশিক তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী এবং ১৬ মামলার আসামি বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, আশিক মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ী। এ ধরনের একজন অপরাধীর (আশিকের) সঙ্গে বাইরের একজন নারীর পরিচয় থাকার বিষয়টিও সন্দেহজনক। বিষয়টি পুলিশ খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং ঘটনার গভীরে গিয়ে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে।
র্যাবের দাবি, রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে আসা এক নারী হোটেলে তিন যুবকের হাতে ধর্ষণের শিকার হন। বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শহরের সুগন্ধা পয়েন্ট সৈকত থেকে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে অপহরণের পর হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। রাত ২টার দিকে র্যাবের একটি দল হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের একটি হোটেল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার ব্যাপারে বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারীর স্বামী মামুন মিয়া বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার আবদুল করিমের ছেলে আরিফুল ইসলাম আশিক, মোহাম্মদ শফির ছেলে আব্দুল জব্বার জয়, বাবু ও রিয়াজউদ্দিন ছোটনসহ অজ্ঞাতনামা আরো তিনজন। এর মধ্যে হোটেল ম্যানেজার রিয়াজউদ্দিন ছোটন গ্রেপ্তারের পর এখন কারাগারে রয়েছেন। পুলিশ জানায়, ধর্ষণের শিকার নারীকে বৃহস্পতিবার কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তির পর তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।