ইসলামী ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংকের একাধিক একাউন্টসহ ১২৫টি বিকাশ এবং নগদ একাউন্ট ব্যবহার করে এক নারীর কাছ থেকে প্রায় ২৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দেশি এবং বিদেশি একটি প্রতারক চক্র। গতকাল চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসেন জুনায়েদের আদালতে ভুক্তভোগী ওই নারী উক্ত প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে নালিশী মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে সিআইডিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। আসামিরা হলেন–এলাইসা, লউরেন্স গোমেজ, আন্টোনিও মালদোনাদো ইভানজেলিস্ট, রিতা মেরিন, এসোক হুর, মৌসুমী সম ও আত্রেয়ী রায়। বাদি পক্ষের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ আজাদীকে বলেন, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে প্রতারক চক্র তাদের গ্রাহক সংগ্রহ করে। অফলাইন এবং অনলাইনে প্রতারক চক্রের কাস্টমাইজ করা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে ক্লিক করলেই টাকা মিলবে–এরকম প্রলোভন দেখিয়ে শুরু হয় প্রতারণার কাজ। প্রথম প্রথম ৩–৪ বার প্রতারক চক্র ক্লায়েন্টকে নির্দিষ্ট টাকাও প্রদান করে। এরপর প্রতারক চক্র ভুক্তভোগীদেরকে তাদের পাতা ফাঁদে ফেলে বিকাশ, নগদ এবং বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে হাতিয়ে নেয় গ্রাহকের লাখ লাখ টাকা। আইনজীবী আরো বলেন, দেশি–বিদেশি এ ধরনের সঙ্ঘবদ্ধ প্রতারক চক্র শুধু এই নারী নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গাতেই প্রতারণার জাল বিছিয়ে নিরীহ মানুষের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রতারক চক্রের সদস্যদেরকে আইনের আওতায় আনতে না পারলে ভুক্তভোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলবে। ১৫০ টাকার লোভে পড়ে ২৮ লাখ টাকা হারিয়েছেন ভোক্তভোগী বলেও জানিয়েছেন আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ।