চবি বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের ফল বাতিল ও খাতা পুনঃমূল্যায়নের দাবি

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৩০ জুন, ২০২৫ at ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বাংলা বিভাগের ২০১৮১৯ শিক্ষাবর্ষের (৫৪তম ব্যাচ) স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) ফলাফল বাতিল ও খাতা পুনঃমূল্যায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই ব্যাচের শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করে তাদের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন। গত ২৬ মে তাদের ফলাফল প্রকাশ হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট কিছু শিক্ষক প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে অযাচিতভাবে নম্বর কমিয়ে দিয়েছেন। তথ্য অনুযায়ী, স্নাতকে সিজিপিএ ৩.০০এর নিচে মাত্র ৯ জন ছিল, কিন্তু স্নাতকোত্তরে তা বেড়ে ৬৩ জনে পৌঁছেছে। স্নাতকে ৩.২৫এর ওপরে ছিল ৬১ জন, স্নাতকোত্তরে মাত্র ৫ জন। শিক্ষার্থীরা বলেন, ৫ আগস্টের আগে ও পরে আমরা বিভাগের বিভিন্ন সংস্কার নিয়ে কথা বলেছিলাম। জুলাই আন্দোলনে শিক্ষকদের নির্লিপ্ততার কথা বলেছিলাম। এসব ন্যায্য অধিকারের কথা বলায় আমরা শিক্ষকদের প্রতিপক্ষ হয়ে গেছি। তারা তো স্কুল কলেজের শিক্ষকদের মত পিটাতে পারে না, তাই খাতা মূল্যায়নের সময় তাদের সমস্ত ক্ষোভ ও স্বৈরাচারী মনোভাব প্রকাশ করেছে। বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শাহ রিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, খাতা পুনঃমূল্যায়ন শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় এমন নিয়ম করে রেখেছে, মনে হতে পারে শিক্ষকরা কখনো ভুলই করতে পারেন না। খাতা পুনঃমূল্যায়নের সুযোগ না থাকায় শিক্ষকরা স্বৈরাচার হয়ে উঠেছেন। এটা শুধু বাংলা বিভাগ নয়, পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র। আরেক শিক্ষার্থী আফসানা মিমি বলেন, একটা ব্যাচের একদুইজনের খারাপ রেজাল্ট হতে পারে। কিন্তু পুরো ব্যাচের রেজাল্ট খারাপ হওয়া কখনই স্বাভাবিক না। এই রেজাল্ট নিয়ে কোন চাকরিতে গেলে শর্টলিস্ট থেকেই বাদ দেওয়া হবে। আমাদের অনেকের স্বপ্ন ছিল ভালো কিছু করার; কিন্তু রেজাল্টের এমন বিপর্যয়ে আর আবেদনের যোগ্যতাই রাখা হয়নি। মানববন্ধনে সঞ্চালনা করেন বিভাগের শিক্ষার্থী ধ্রুব বড়ুয়া। বক্তব্য রাখেন ফারহানা শিমু, আজিজুর রহমান, জাহিদ হাসান মিহাদ, শাহজাদা আল হাবিব, শুভ আহমেদসহ অনেকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে পল্লী চিকিৎসক এসোসিয়েশনের অভিষেক
পরবর্তী নিবন্ধজামিন না মঞ্জুর, কারাগারে সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল