ইংল্যান্ডের উত্তর–পূর্ব উপকূলবর্তী উত্তর সাগরে তেলের ট্যাঙ্কারের সঙ্গে ধাক্কা লাগা পণ্যবাহী জাহাজ সোলোং–এ অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি ১৫টি কনটেইনার উচ্চমাত্রার বিষাক্ত রাসায়নিক সোডিয়াম সায়ানাইড বহন করা হচ্ছিল। খবর বিডিনিউজের।
সামুদ্রিক তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান লয়েডস লিস্ট ইন্টেলিজেন্স একথা জানিয়েছে। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা জানায়, সোডিয়াম সায়ানাইড এক ধরনের সাদা, স্ফটিকের মতো কঠিন পদার্থ, যার হালকা বাদামজাতীয় গন্ধ রয়েছে। এটি ধাতু পরিষ্কার করা, আবরণ তৈরি, খনন শিল্প এবং ফটোগ্রাফির কাজে ব্যবহার হয়। তাছাড়া এটি অন্যান্য রাসায়নিক তৈরিতেও ব্যবহার হতে পারে। সংস্থাটি জানায়, সায়ানাইড লবণের সংস্পর্শে এলে মাথাব্যথা, বমিভাব, মাথা ঘোরা, স্নায়ুর অস্থিরতা, বিভ্রান্তি, হৃদস্পন্দনের পরিবর্তন ও তন্দ্রাচ্ছন্নতা দেখা দিতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে এটি হৃদযন্ত্র ও শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যা মৃত্যুর কারণও হতে পারে। ট্যাংকার এবং জাহাজের সংঘর্ষের পর পানিতে সোডিয়াম সায়ানাইড মিশে গিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাসায়নিক পানিতে দ্রবনীয় এবং তা বিষাক্তও হতে পারে। লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিবিসি–কে বলেন, সোডিয়াম সায়ানাইড পানির সংস্পর্শে আসলে বিষাক্ত হাইড্রোজেন সায়ানাইড গ্যাস গঠিত হওয়ার ঝুঁকি থাকবে, যা জীব–বৈচিত্রের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তবে তিনি বলেন, ঝুঁকি কতটা হবে সেটি নির্ভর করবে এই রাসায়নিক কত পরিমাণে পানিতে মিশছে তার ওপর। তাছাড়া, পরিষ্কার অভিযানের সময় দূষণের মাত্রা কতটুকু তা জানতে পানি পরীক্ষা করতে হবে। সোমবার ট্যাংকার এবং জাহাজের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৩২ জন আহত হয়েছে।