মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এরই মধ্যে বলে বসেছেন, যুক্তরাষ্ট্র গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ পাবে বলে তার বিশ্বাস, আর্কটিকের দ্বীপটি পেতে তার যে আগ্রহ, এর পেছনে অর্থনৈতিক নিরাপত্তাও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ বলে মনে হচ্ছে অনেকের। খবর বিডিনিউজের।
স্বায়ত্তশাসিত ডেনিশ অঞ্চলটি তড়িঘড়ি করে তারা যে বিক্রির জন্য নয় তা জানিয়ে দিলেও এর বিপুল খনিজ সম্পদের ভাণ্ডার, যার বেশিরভাগ এখনও উত্তোলনই শুরু হয়নি, তার দিকে অনেকেই লোভাতুর চোখে তাকিয়ে আছে। খনিজ সম্পদ, এর সম্ভাবনা ও সংকটের নানা দিক দেখতে বিবিসির এক প্রতিবেদক চষে বেড়ান দ্বীপটির নানা শহর, কথা বলেন অনেকের সঙ্গে। তিনি জানান, গ্রিনল্যান্ডের দক্ষিণ প্রান্ত, যেখানে দেখা মিলবে খাঁজকাটা ধূসর শৃঙ্গ ও সমুদ্রের আঁকাবাঁকা সব শাখার, সেখানেই রয়েছে খনিজের সমারোহ। খনন কোম্পানি আমারক মিনারেলস খনিজের খোঁজে দুর্গম ওই অঞ্চল চষে বেড়াচ্ছে, স্বর্ণখনি তো আছেই, এখন খুঁজছে তামা, নিকেল ও বিরল সব খনিজ উপাদান। কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী এল্ডোর ওলাফসন অঞ্চলটির সম্ভাবনার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ওই খুব উঁচু সুঁচালো পাহাড়গুলো আসলে এক একটি সোনার খনি। আমারকের খনন লাইসেন্সের আওতা ১০ হাজার বর্গকিলোমিটারে বেশি, নালুনাক পাহাড়ে তাদের স্বর্ণখনিটি তারা কেনে ২০১৫ সালে, এর আগের এক দশক খনিটি থেকে স্বর্ণ উত্তোলন করা হলেও স্বর্ণের দাম পড়ে যাওয়া ও খনির পরিচালন ব্যয় বেশি হওয়ায় এটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
এ বছর থেকে খনিটি লাভজনক হবে বলে আশাবাদী ওলাফসন।