প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নগরী থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার দু’জন হলেন– আল আমিন নোমান (৩৯) ও কাউছার আহমেদ সাগর (৩৫)।
পুলিশ জানায়, সদরঘাট এলাকায় এন এন ফিশ প্রতিষ্ঠানের মালিক ইসমাইল হোসেন মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাছ কিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করতেন। নোমান ও সাগর কমিশনে তার ব্যবসার দেখাশোনা করতেন।
সর্বশেষ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাত থেকে আট ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় তিন কোটি টাকার মাছ কেনেন ইসমাইল। এরপর তিনি গা ঢাকা দেন। পরে ব্যবসায়ীরা নোমান ও সাগরের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারাও টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। ওই মাসেই ইসমাইলকে প্রধান আসামি করে তিন জনের নামে সদরঘাট থানায় অভিযোগ দেন এক ব্যবসায়ী।
সদরঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস জাহান আজাদীকে বলেন, মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাছ কিনে টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগে নোমান ও সাগরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি ইসমাইল হোসেন পলাতক। তিনি দেশের বাইরে আছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। গ্রেপ্তার অভিযুক্তরা ইসমাইলের প্রতিষ্ঠান দেখাশোনা করেন এবং তার নিকটাত্মীয়।
সদরঘাট থানার উপ–পরিদর্শক (এসআই) অর্ণব বড়ুয়া বলেন, ইসমাইল প্রথমে এক হাতে ব্যবসা পরিচালনা করলেও পরে সেটা তার শ্যালক নোমান ও ভাগনে সাগরকে নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেয়। মাছ ব্যবসায়ীরা তাদেরকেই চিনতেন বেশি। ইসমাইল শুধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারিতে তারা একসঙ্গে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তিন কোটি টাকার মাছ বাকিতে কেনেন। এর পর চেকের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের কিছু টাকা দিলেও পরে ইসমাইল বিদেশে পালিয়ে যায়। সে এখন দুবাই আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য আমরা ইমিগ্রেশনের আবেদন করেছি।