সাত নির্দেশনায় চবিতে চলবে ২৩ সিএনজি

চবি প্রতিনিধি | সোমবার , ১৮ এপ্রিল, ২০২২ at ৫:০৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) চলমান শিক্ষার্থী-সিএনজি চালকদের সংঘাত বন্ধ করার লক্ষ্যে সিএনজি মালিক সমিতির সাথে বৈঠক করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে চবির স্টিকারযুক্ত ২৩টি সিএনজি ক্যাম্পাসে চলাচল করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিএনজিগুলো পুরোপুরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। গতকাল রোববার দুপুরে চাকসু ভবনে সিএনজি মালিক, ড্রাইভার, পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় প্রশাসন, চবি প্রশাসন চলমান সমস্যা সমাধানে বৈঠকে বসেন। এতে ৭টি বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে, সিএনজি চালকদের জন্য নির্ধারিত পোশাক থাকবে, চালকদের ড্রাইভার লাইন্সেস এবং এনআইডি প্রক্টর অফিসে জমা দিতে হবে, মালিকের গাড়ি কাগজপত্র প্রক্টর অফিসে জমা থাকতে হবে, ছাত্র এবং ড্রাইভার উভয়ের মধ্যে ভালো ব্যবহার করতে হবে ও রাত ১১টার পর ১০ টাকা করে ভাড়া দিতে হবে। অনুমোদনপ্রাপ্ত ২৩টি সিএনজি ব্যতিত অন্য কোনো সিএনজি এক নাম্বার গেইট টু জিরো পয়েন্ট রোডে চলাচল করতে পারবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা আজকে ২৩টি গাড়ির কাগজ পত্র জমা করেছি। ওই ২৩টি গাড়ি ব্যতিত অন্য কোনো গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের রোডে চলাচল করবে না। এছাড়াও সিএনজি চালকদের প্রতি বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছি। তারা নির্দেশনা না মানলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারবে।
বৈঠকে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন, হাটহাজারী থানা ওসি রফিকুল ইসলাম, চবি ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর জিয়াউল ইসলাম, রামেন্দু পারিয়াল, আহসানুল কবির পলাশ, অরুপ বড়ুয়া, ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদিন, স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বাররা ও ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পক্ষের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে আরাফাত রায়হান নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী মোটরসাইকেল নিয়ে ১ নং গেইট থেকে ক্যাম্পাসে আসার পথে স্থানীয় এক সিএনজির সাথে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এরপর ওই সিএনজি চালককে সাবধানে চালাতে বলেন আরাফাত। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে মো. জাবেদ নামে এক দোকানদার এসে সেই শিক্ষার্থীকে মারধর শুরু করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সিএনজি চলাচল বন্ধ করে দেয়। এর জের ধরে শহর থেকে ক্যাম্পাসে আসার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ শিক্ষার্থীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে স্থানীয় ও সিএনজি চালকরা। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরাও মূল ফটক আটকে দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅবশেষে গ্রেপ্তার সংঘবদ্ধ দলের আট সদস্য
পরবর্তী নিবন্ধএবার বাজেট হতে পারে ৬ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকার