বহুল প্রতীক্ষিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস ও চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। প্রথমবারের মতো নগরীর ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্রের ৪ হাজার ৮৮৬টি বুথে ইভিএমের মাধ্যমে আগামী ২৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ হবে। ভোট গ্রহণ কাজে সরাসরি দায়িত্বে থাকতে হবে ১৫ হাজার ৩৯৩ জন কর্মকর্তাকে। এর বাইরে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ কর্মকর্তা সবসময় নিয়োগ দিয়ে থাকে নির্বাচন কমিশন। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নির্বাচনে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেলে সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মকর্তারা থাকছেন।
চসিক নির্বাচনে প্রতিবারই ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরিতে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে নানা জায়গা থেকে সমালোচনা হয়। এবারও অনেক মেয়র প্রার্থী ও স্থানীয় সরকার বিশ্লেষকরা সিটি কর্পোরেশনের স্কুল-কলেজের শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের নিয়োগ না দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
তবে এর বিপরীত বক্তব্যও এসেছে। নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের ভাষ্য, চসিকের স্কুল-কলেজের শিক্ষক এবং কর্মকর্তারা তো রাজনীতি করেন না। তারা সরকারি বেতনভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী। তারা নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন কিনা সেটাই বড় কথা। বিগত কোনো সময়ে তাদের দায়িত্ব পালনকালীন কোনো অভিযোগ পাওয়া গেছে?
জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা গেছে, বিগত সময়ে চসিক নির্বাচনে কর্পোরেশনের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সুতরাং সিটি কর্পোরেশনের স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা থাকা উচিত নয় বলে মনে করেন চারজন মেয়র প্রার্থীসহ অনেক পেশাজীবী।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান আজাদীকে বলেন, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল এখনো তৈরি হয়নি। প্যানেল তৈরির কাজ চলছে।
প্যানেল তৈরিতে চসিকের কর্মকর্তা এবং স্কুলের শিক্ষকরা থাকবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু সিটি কর্পোরেশন বলে কথা নয়, সরকারি বেতন নেন এ রকম সবগুলো প্রতিষ্ঠান থেকে তালিকা নিয়েছি। এখন যাচাই-বাছাই করছি। আমি কোনো কিছুকে নেতিবাচক হিসেবে দেখি না। সবকিছুকে ইতিবাচক হিসেবে দেখতে চাই। একটি সুন্দর নির্বাচন করতে চাই। গত সোমবার সুন্দরভাবে সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচন করলাম। আশা করি সকলের আন্তরিকতা ও সহযোগিতায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারব।