শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি বলেছেন, যে কোনো দেশের ভৌত ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রকৌশলী সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। আমাদের দেশে হয়তো এখনো বিষয়ভিত্তিক খুব বেশি কর্মক্ষেত্র তৈরি হয় নি। সেজন্য বর্তমান প্রজন্মের গ্র্যাজুয়েটরা কিছু সফট স্কিল আয়ত্ত্ব করে নিজেদের ক্যারিয়ারকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেন। এছাড়া অ্যাকাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপের সময় বৃদ্ধি ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট আরো বাড়াতে হবে। গবেষণা ও ইনোভেশনের দিকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। তবেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার রূপকল্প বাস্তবায়ন আরো দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবে। তিনি গবেষণা খাতের জন্য এ্যানডোমেন্ট ফান্ড গঠনে চুয়েট অ্যালামনাইদের এগিয়ে আসারও আহবান জানান। গত ২০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার সচেতনতামূলক সংগঠন চুয়েট ক্যারিয়ার ক্লাবের উদ্যোগে প্রকৌশল শিক্ষা কীভাবে দেশকে সেবা দিতে পারে এবং এর সম্ভাবনা ও বাস্তবতা” (How Engineering Education Serves the Nation : Its Prospects and Reality) শীর্ষক এক ওয়েবইনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েট ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়ার সম্পর্ক আরো জোরদার করতে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। সে লক্ষ্যে করোনা মহামারিতেও ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সেমিনার-সিম্পোজিয়াম-কর্মশালা আয়োজন থেমে নেই। আমরা আশা করবো শিক্ষার্থীরা এসব ওয়েবইনার থেকে উপকৃত হবে। এ সময় প্রফেশনালদের মধ্যে সাদার্ন ইউনিভার্সিটির প্রো-ভিসি অধ্যাপক এম আশরাফ আলী, এ এম কে ডোর পলাশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মেজর (অবঃ) ফিরোজ খানুন ফারাজী, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জোন (বিতরণ)-এর প্রধান প্রকৌশলী শামসুল আলম, কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রকৌশলী মাকসুদুল আলম, শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জালাল আহমেদ এবং অ্যাকাডেমিশিয়ানদের মধ্যে যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. বদিউস সালাম, অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন ওয়েবইনার সেশনে অংশগ্রহণ করেন। তাছাড়া ক্যারিয়ার ক্লাবের সভাপতি মামুন, সাইফু, ইফতেখার, পারভেজসহ অন্যান্য সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীগণ অংশ নেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।