২০ হাজার টাকার লোভে গণধর্ষণের সাজানো ঘটনা

মুচলেকা নিয়ে ছাড়

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৪:২১ পূর্বাহ্ণ

‘গণধর্ষণের’ শিকার হয়েছেন দাবি করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হন এক নারী। জানতে পেরে পুলিশ ওই নারীর বক্তব্য নিয়ে অভিযানে নামে। অভিযানের একপর্যায়ে পুলিশ বুঝতে পারে, এটি আসলে সাজানো ঘটনা। ওই নারীও পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বীকার করতে বাধ্য হন, স্বামীর পরামর্শে ২০ হাজার টাকার লোভে তিনি এ ঘটনা সাজিয়েছেন। ৩০ বছর বয়সী ওই নারী পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। স্বামী ইব্রাহিমের সঙ্গে তিনি নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকার ধূপকূল এলাকায় থাকেন।
যাদের বিরুদ্ধে গণধষর্ণের অভিযোগ এনেছিলেন ওই নারী, তারা কেউ মামলা না করায় ওই নারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে আজাদীকে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি-দক্ষিণ) নোবেল চাকমা। এডিসি নোবেল চাকমা বলেন, ওই নারীর অভিযোগ ছিল, মুছা নামের পূর্বপরিচিত এক ব্যক্তি তাকে মঙ্গলবার রাতে কালো রঙের একটি মাইক্রোবাসে তুলে বাকলিয়া থানার শহীদ এনএমজে কলেজ রোডের বাস্তুহারা বালুর মাঠ এলাকায় নিয়ে তিনজন মিলে ধর্ষণ করেন। আমরা তাকে নিয়ে ওই এলাকায় অভিযানে যাই। কিন্তু তিনি বাস্তুহারা এলাকা চেনেননি, ঘটনাস্থলও শনাক্ত করতে পারেননি। এতে আমাদের সন্দেহ হয়। আমরা তার স্বামী ইব্রাহিমকে ঘটনাস্থলে আসতে বলি। কিন্তু তিনি আসেননি। টেলিফোনে স্ত্রীকে শিখিয়ে দিচ্ছিলেন বাস্তুহারা এলাকায় ঘটনা ঘটেছে বলার জন্য। আর স্ত্রী একপর্যায়ে দাবি করেন শাহ আমানত সেতুর অপরপ্রান্তে কর্ণফুলী থানা এলাকায় ঘটনা ঘটেছে। তখন আমরা প্রায় নিশ্চিত হই যে, এটি একটি সাজানো ঘটনা। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে নারী স্বীকার করে, স্বামীর পরামর্শে ২০ হাজার টাকার প্রলোভনে ধর্ষণের এ ঘটনা সাজান তিনি। এ জন্য বুধবার ভোরে তিনি চমেক হাসপাতালে ভর্তি হন। গেলে কী কী করতে হবে এবং ধর্ষণের আলামত দেখাতে পারবেন সবকিছুই তিনি করেছেন।
নোবেল চাকমা আরও জানান, যে তিনজনের বিরুদ্ধে ওই নারী অভিযোগ এনেছেন, তাদের বাসা নগরীর পতেঙ্গা এলাকায়। ওই নারী তাদের কখনও দেখেননি, পরিচয়ও নেই। অভিযুক্তরাও কেউ এ বিষয়ে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ জন্য ওই নারীকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধসাবেক সংসদ সদস্য বদির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু