২০৩৫ সালের মধ্যে মুটিয়ে যাবে বিশ্বের অর্ধেক মানুষ

| শনিবার , ৪ মার্চ, ২০২৩ at ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ

যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে সামনের এক যুগে বিশ্বের অর্ধেক মানুষ মুটিয়ে যাওয়ার সমস্যায় পড়বে। অর্থাৎ তাদের ওজন হবে উচ্চতা অনুযায়ী স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি। ওয়ার্ল্ড ওবিসিটি ফেডারেশন বলছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের চারশ কোটি মানুষ অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগবে। সবচেয়ে দ্রুত এই সমস্যা বৃদ্ধি পাবে শিশুদের মধ্যে। বিবিসি জানিয়েছে, আফ্রিকা ও এশিয়ার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি এই সমস্যা বাড়ার আভাস দেওয়া হয়েছে

 

ফেডারেশনের এক প্রতিবেদনে। অতিরিক্ত ওজনের কারণে আর্থিক ক্ষতির হিসাব তুলে ধরে সেখানে বলা হয়েছে, ২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বে স্থূলতার কারণে প্রতি বছর ৪ হাজার বিলিয়ন ডলারের বেশি অতিরিক্ত খরচ হবে। খবর বিডিনিউজের।

ওয়ার্ল্ড ওবিসিটি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক লুইস বাউর বলছেন, তাদের জরিপে যে ফলাফল এসেছে, তা বিশ্বের দেশগুলোকে এই সতর্কবার্তা দিচ্ছে যে, পরিস্থিতির ওইরকম অবনতি এড়াতে এখনই তাদের উদ্যোগী হওয়া দরকার। ওবিসিটি ফেডারেশনের প্রতিবেদনে শিশু ও কিশোর বয়সীদের মুটিয়ে

যাওয়ার প্রবণতার উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে। বলা হয়েছে, ২০২০ সালে ছেলেমেয়েদের স্থূলতার যে মাত্রা, ২০৩৫ সালের মধ্যে তা দ্বিগুণ হতে পারে।

অধ্যাপক বাউর বলেন, বিশ্বের জনসংখ্যার স্থূলতার প্রবণতা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। এর পেছনে মূল কারণগুলো পর্যালোচনা করে তরুণদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক খরচ এড়াতে বিশ্বব্যাপী সরকার এবং নীতিনির্ধারকদের যথাসাধ্য সবকিছু করতে হবে।

বিশ্বের নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে স্থূলতার প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে ওবিসিটি ফেডারেশনের প্রতিবেদনে। বিশ্বে সব থেকে বেশি শারীরিক স্থূলতার ঝুঁকিতে থাকা ১০টি দেশের মধ্যে নয়টি দেশই নিম্ন ও মধ্যম আয়ের; সবগুলোই হয় এশিয়ার, না হয় আফ্রিকা মহাদেশের।

শারীরিক এই স্থূলতার পেছনে প্রক্রিয়াজাত খাবার, শারীরিক ব্যায়াম বা অনুশীলনের অভাব, খাদ্য সরবরাহ ও বাজারজাতকরণে দুর্বল নীতি এবং ওজন ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্য শিক্ষার অনুন্নত ব্যবস্থাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়েছে, মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা রোধে নিম্ন আয়ের দেশগুলো খুব বেশি উদ্যোগ নিতে পারে না।

ওবিসিটি ফেডারেশনের তথ্য বলছে, বিশ্বজুড়ে স্থূলতার হার বৃদ্ধির ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়বে। বার্ষিক ক্ষতির যে পরিমাণের অনুমান করা হচ্ছে তা বিশ্বের মোট জিডিপির ৩ শতাংশ এবং একে কোভিডের প্রভাবে ২০২০ সালের আর্থিক ক্ষতির সঙ্গে তুলনা করেছে সংস্থাটি। তবে শারীরিক

স্থূলতার জন্য কোনোভাবেই মুটিয়ে যাওয়া মানুষদের দোষারোপ না করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। সোমবার জাতিসংঘে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে সংস্থাটি।

ওবিস’ একটি মেডিকেল টার্ম, যা দিয়ে শরীরের উচ্চ মাত্রায় চর্বি রয়েছে এমন ব্যক্তিদের বোঝানো হয়। মানুষের শারীরিক স্থূলতা পরিমাপে বডি ম্যাস ইনডেস্ক (বিএমআই) ব্যবহার করেছে ওবিসিটি ফেডারেশন। একজন প্রাপ্তবয়স্কের শারীরিক ওজনকে তার উচ্চতা দিয়ে ভাগ করে বিএমআই হিসাব করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাইক্রোর সিটের নিচে ৫০ লাখ টাকার ইয়াবা
পরবর্তী নিবন্ধহজযাত্রীদের হেল্পলাইন সেবা চালু ১২ মার্চ