হালদা নদীতে নগণ্য ডিমের আলামত

হাটহাজারী প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২৯ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:২৩ অপরাহ্ণ

দেশের একমাত্র প্রকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজে আজ বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) ভোররাতে নগণ্য ডিমের আলামত দেখা গেছে। বজ্রবৃষ্টি ছাড়া নগণ্য এ ডিম দেখে এটাকে কেউ কেউ নমুনা ডিম বললেও সংশ্লিষ্টরা এই নগণ্য ডিমকে নমুনা বলছেন না। মাবস্যা, অষ্টমী ও পূর্ণিমা তিথিতে এই রকম নগণ্য ডিমের আলামত নদীতে দেখা যেতে পারে বলে তারা মত প্রকাশ করেন।
মূলত তিথির জো-এর কারণে নদীতে জোয়ারের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রবল জোয়ারের কারণে নদীতে লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়েছে। এখন পেটভর্তি ডিম নিয়ে মা মাছ হালদা নদীতে আনাগোনা করছে। জোয়ারের তীব্রতায় মাছ হয়তো এই নগণ্য ডিম ছাড়তে পারে বলে অনেকে মত প্রকাশ করছেন।
হালদা নদী থেকে ডিম আহরণকারী কামাল সওদাগর, শফিউল আলম, আশু বড়ুয়ার কাছে নগণ্য ডিম ছাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, পূর্ণিমা তিথির কারণে নদীতে জোয়ারের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রবল জোয়ারের কারণে নদীতে লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়েছে।
যেহেতু বর্তমানে মা মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুম সমাসন্ন তাই অমাবস্যা, অষ্টমী ও পূর্ণিমা তিথিতে পর পর মৌসুমের যেকোনো সময় এভাবে মা মাছ নগণ্য ডিম ছাড়ার ধর্ম মাছের। তারই ধারাবাহিকতায় হয়তো এই ডিম ছেড়েছে। এই ডিম কিন্তু আহরণ করা যায় না। আর এই ডিম আহরণের জন্য ডিম আহরণকারীরাও প্রস্তত নয়।
হালদা গবেষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, “মৌসুমের সময় জো-এর পর পর এভাবে মা মাছ ডিম ছাড়ে। শুধু তাই নয়, ডিম ছাড়া শেষ হলেও কোনো কোনো সময় মা মাছ এভাবে ডিম ছেড়ে থাকে।” তাছাড়া এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল অতিরিক্ত মুনাফার জন্য মানুষকে বিভ্রান্ত করতে ডিমের নমুনা ছাড়ার কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহুল আমিন নগণ্য সংখ্যক ডিম ছাড়ার বিষয় অবগত আছেন বলে জানান। তবে এটা প্রকৃতপক্ষে ডিমের নমুনা নয়। প্রবল বর্ষণসহ বজ্রবৃষ্টি, নদীতে ঢলের প্রকোপ নেই, তাই এটাকে নমুনা ডিম বলা যাবে না।
হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুন হুদা রনিও একই কথা বলেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডা. শাহাদাতের রিমান্ড আবেদন না মঞ্জুর
পরবর্তী নিবন্ধসেনাবাহিনীর অভিযানে বান্দরবানে চোরাই কাঠ আটক