মাদকসহ গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানোর আগেই চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট হাজতখানা থেকে পালিয়ে যায় ষাট বছর বয়সী শামসুল হক বাচ্চু। গতকাল সকালে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি এলাকা থেকে সেই বাচ্চুকে ফের গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। এ সময়ও তার কাছ থেকে ৩৭ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। বাচ্চু কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালী মডেল থানার কালিবাজার ইউপির এক নম্বর ওয়ার্ডের মৃত রহমত আলীর ছেলে। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার (বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে। এর আগে গত ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট হাজতখানা থেকে পালায় শামসুল হক বাচ্চু।
কারাগারে নিয়ে যাওয়ার ঠিক আগেই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ফাঁকি দিয়ে সে পালিয়ে যায়। পরদিন কোতোয়ালী থানায় বাচ্চুর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়। মামলার এজহারে বাদী কোর্ট পরিদর্শক জাকের জাকের হোসাইন মাহমুদ উল্লেখ করেন, ৪ জানুয়ারি ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ চন্দনাইশ থেকে বাচ্চুকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। পরদিন তাকে আদালতে নিয়ে যান চন্দনাইশ থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এরপর তাকে আদালতে তোলা হয়। আদালতের কার্যক্রম শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর উদ্দেশ্যে জেলা কোর্ট হাজতখানায় রাখা হয়। যেখানে অন্যান্য আসামিরাও ছিল।
হাজতখানার সেরাস্তা টেবিলের পাশের একটি বেঞ্চে বাচ্চু বসা ছিল উল্লেখ করে এজহারে আরো উল্লেখ করা হয়, কারাগারে পাঠাতে প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছিল আসামিদের। কিন্তু বেঞ্চে বাচ্চুকে পাওয়া যায়নি। সু– কৌশলে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
আদালতসূত্র জানায়, বাচ্চুর পলায়নের ঘটনায় জেলা কোর্ট হাজতখানার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সাত পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়। গঠন করা হয়েছিল একটি তদন্ত কমিটিও।