সিজারের সময় মাথা কাটা পড়ে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

বান্দরবান প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২৮ এপ্রিল, ২০২২ at ৫:০৯ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবান সদর হাসপাতালে সিজার করে ডেলিভারির সময় মাথা কাটা পড়ে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে। তবে চিকিৎসকদের দাবি, শিশুটি মায়ের গর্ভেই মৃত ছিল। গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বান্দরবান পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাফেজঘোনা এলাকার বাসিন্দা রাজমিস্ত্রি মাহাবুব আলমের স্ত্রী পিঙ্কি আক্তারের প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক সিজার করার পরামর্শ দেন। এতে তার পরিবারও সম্মতি দেন। তবে সিজার অপারেশনকালে মাথা কাটা পড়ে নবজাতকের। এ কারণে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে পরিবার।

ব্যাপারটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতালে জড়ো হয়। খবর পেয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, সিভিল সার্জন নিজার রঞ্জিত নন্দি, সদর থানার ওসি রফিকুল আলমসহ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

শিশুর বাবা রাজমিস্ত্রি মাহাবুব আলমের দাবি, চিকিৎসকের অসতর্কতায় আমার শিশু সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। এটি দুর্ঘটনা নয়, হত্যা। চিকিৎসকরা এখন দাবি করছেন, মায়ের গর্ভে শিশুটি মৃত ছিল। কিন্তু ডেলিভারির আগে সে কথা আমাদের বলেনি। আমার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থাও তেমন খারাপ ছিল না। আমি সন্তান হত্যার বিচার দাবি করছি।

তবে এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের আরএমও রেজাউল হায়দার ও মেডিকেল অফিসার মো. সাজ্জাতুল আমিন বলেন, শিশুর ডেলিভারি অপারেশন করেছেন ডা. চিংম্রা। তার দাবি, বাচ্চাটা মায়ের পেটেই মৃত ছিল। স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হওয়ায় যন্ত্র দিয়ে টেনে বের করার সময় বাচ্চার মাথায় আঘাত লেগেছে। কিন্তু মায়ের ঝুঁকি কমানোর জন্য অপারেশন করে মৃত বাচ্চা প্রসব জরুরি হয়েছিল। এটা স্বাভাবিক বিষয়। চিকিৎসকদের কোনো ত্রুটি বা অবহেলা ছিল না। সিভিল সার্জন ডা. নিহার রঞ্জন নন্দি বলেন, চিকিৎসকের অবহেলায় নয়, শিশুটি মায়ের গর্ভেই মৃত ছিল। মাকে বাঁচাতে অপারেশন করে ডেলিভারি করা হয়। তারপরও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, শিশুর মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বিষয়টি তদন্ত করবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধটাকা ফেরত চেয়ে এবার সেই যুবলীগ নেতার মামলা