সাত বছর পর আসামি কালু গ্রেপ্তার

মিতু হত্যা

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৪ জুন, ২০২৩ at ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ

সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে হত্যার উদ্দেশে ছুরিকাঘাতকারী দুইজনের একজন কালুকে সাত বছরের মাথায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শুক্রবার (২ জুন) রাত ২টার দিকে নগরীর আকবর শাহ থানার ছিন্নমূল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) টিম। গ্রেপ্তার খাইরুল ইসলাম কালুর বাড়ি রাঙ্গুনিয়া উপজেলায়। সাত বছর পর চট্টগ্রাম থেকেই গ্রেপ্তার হলেন আলোচিত এই খুনের আসামি, যাকে ধরিয়ে দিতে ৫ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা ছিল। গতকাল শনিবার (৩ জুন) দুপুরে গ্রেপ্তার খায়রুল ইসলাম কালুকে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিহান সানজিদার আদালতে হাজির করে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) জাকের হোসাইন মাহমুদ।

পিবিআই, চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিটের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা জানিয়েছেন, আসামি কালু বিভিন্ন ছদ্মবেশ নিয়ে গত সাতবছর ধরে গ্রেপ্তার এড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন। সর্বশেষ তিনি আকবর শাহ এলাকায় একটি ভবনে নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। বিচারাধীন মিতু হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন করবে।

রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মিল্কী বলেন, কালুর বিরুদ্ধে মিতু হত্যা মামলা ছাড়াও ২০১২ সালে রাঙ্গুনিয়া থানার পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা রয়েছে। ওই মামলায় পলাতক আসামি ছিলেন কালু।

প্রসঙ্গত, চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম চলছে চট্টগ্রামের একটি আদালতে। পলাতক কালুকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানার পাশাপাশি বিদেশযাত্রা ঠেকাতে তার পাসপোর্ট জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেড় হাজার শয্যা সংস্থানে নতুন ১০ তলা ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত
পরবর্তী নিবন্ধঅঙ্গসংগঠন দিয়ে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করবে বিএনপি