বাংলাদেশে আইন সংস্কারের কাজ অনেকদূর এগিয়েছে

চবিতে ৬ষ্ঠ এ কে খান ল মেমোরিয়াল লেকচার

চবি প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ at ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আইন অনুষদে অনুষ্ঠিত হয়েছে ষষ্ঠ এ কে খান ল মেমোরিয়াল লেকচার। গতকাল সোমবার এ কে খান ফাউন্ডেশন ও চবি আইন বিভাগের উদ্যোগে এ কে খান আইন অনুষদ মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপউপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে ও উপউপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. সেকান্দর চৌধুরী এবং এ কে খান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি মো. এ এম জিয়াউদ্দীন খান। অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শাহীন চৌধুরী। মুখ্য আলোচক উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের পোর্টস্মাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ল স্কুলের চেয়ার প্রফেসর ড. এ এফ এম মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, আইন সংস্কার একটি অপরিহার্য প্রক্রিয়া, যা আইনের প্রাসঙ্গিকতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করে আইনের প্রতি জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা বজায় রাখে। এটি পুরানো এবং অপ্রয়োজনীয় আইনগুলিকে সরিয়ে দিয়ে নতুন আইন তৈরি করে সামাজিক প্রয়োজনীয়তা মেটায়। সিভিল ল ব্যবস্থা এবং কমন ল ব্যবস্থা উভয় ক্ষেত্রে বিভিন্ন উপায়ে আইনের সংস্কার হয়ে থাকে। সেগুলোর নিরিখে বাংলাদেশের আইনের সংস্কারের কাজ অনেকটুকু এগিয়েছে, কিন্তু আইন কমিশনের প্রতিবেদনগুলোর বাস্তবায়নের উপর আরও বেশি জোর দেওয়া প্রয়োজন। আইন সংস্কারের ক্ষেত্রে দেশিয় প্রেক্ষাপটের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেন, এ কে খান ল মেমোরিয়াল আমাদের চিন্তাপ্ররোচনামূলক আলোচনায় যুক্ত হওয়ার, আইনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে শোনার এবং ধারণা বিনিময় করার সুযোগ দেয় যা আমাদের আইনি কাঠামোর ব্যবধানগুলি সনাক্ত করতে এবং সেগুলিকে ঢালাই করার উপায়গুলি সনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে।

এছাড়াও তিনি অপ্রয়োজনীয় আইন সরিয়ে সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন এবং একইসাথে আইনের কঠোর বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। আইন বিভাগের ডিন প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বলেন, পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে এগিয়ে যেতে আমাদের আইনসমূহ সংস্কারের প্রয়োজন। আইনের সুশাসন নিশ্চিত করতে আইন সঠিক প্রয়োগ এবং প্রণয়নের বিকল্প নেই। এছাড়াও তিনি এ কে খান ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রতিবছরের মতো এবারও তাদের একচ্ছত্র সহযোগিতার কারণে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিদ্যুৎ সংকট নিরসনের দাবিতে বাসদের সমাবেশ
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে সমসাময়িক ফরাসি চলচ্চিত্র উৎসব ৩ ও ৪ মে